অধিকার বঞ্চিত হিজড়া সম্প্রদায়..
মাহমুদুল হক হাসান
প্রকাশিত: ৮ মে ২০২৩

বর্তমান সমাজের পিছিয়ে পড়া সুবিধা বঞ্চিত একটি সম্প্রদায় হলো হিজড়া জনগোষ্ঠী। সভ্যসমাজ থেকে ছিটকে পড়া এই শ্রেণীটি প্রতিনিয়ত বিকৃত মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠছে। হিজড়াদের সামাজিক মর্যাদা অত্যন্ত শোচনীয়।
উপমহাদেশে বহু বছর ধরে হিজড়াদের কোন স্বীকৃতি ছিল না। হিজড়ারাও মানুষ, সব ধরনের ইন্দ্রিয় অনুভূতি সাধারণ মানুষের মতো তাদেরও রয়েছে। পৃথিবীতে চার ধরনের হিজড়ার উপস্থিতি পাওয়া যায়। প্রথমত যারা দেখতে পুরুষের মত কিন্তু মানসিকভাবে নারী স্বভাবের তাদের অকুয়া বলা হয়, দ্বিতীয়ত, যারা দেখতে নারীর মতো কিন্তু পুরুষ স্বভাবের তাদেরকে বলা হয় জেনানা,তৃতীয়ত,তারা হচ্ছে উভয় লিঙ্গ বা লিঙ্গহীন আরবিতে যাকে খানসা মুশকিল বলে আর চতুর্থত যাদের যৌনক্ষমতা নষ্ট করে হিজড়া বানানো হয় তাদেরকে বলা হয় খোজা। হিজরারাও স্বাভাবিক মস্তিষ্কের মানুষ। ২০১৪ সালের ভারতের সুপ্রিম কোর্ট হিজড়াদেরকে তৃতীয় লিঙ্গ বলে স্বীকৃতি দেয়। হিজড়াদের বেশিরভাগই কিশোর বয়সে পরিবার ও সমাজের কটু দৃষ্টি ও তাড়া খেয়েই রাজধানীতে পাড়ি জমায়। তাদের অনেকে আবার পা বাড়ায় অপরাধ ও অন্ধকার জগতের দিকে। আজকের সমাজে রাষ্ট্র হিজড়াদের সামাজিক স্বীকৃতি ও বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার প্রদানে প্রস্তুত না থাকায় তারা মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পেতে চাঁদা তুলে,বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রমের সাথেও জড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ সরকার ২০১৪ সালের ২৬ শে জানুয়ারি হিজড়াদেরকে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। হিজড়াদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মিলেও অধরাই রয়ে গেছে তাদের বেঁচে থাকার অন্যান্য সুযোগ সুবিধাধী। এদেশে হিজড়াদের অধিকাংশই থাকেন ঢাকা শহরে। শুধু রাজধানীতেই এদের সংখ্যা 15 হাজারেরও বেশি। সাধারণ মানুষের কাছে হিজড়া মানেই বিরক্তি ও আতঙ্ক। শহরের চলাচল উপযোগী প্রায় সব জায়গায় তাদের দেখা মেলে।সমাজ তাদেরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখে তাদেরকে অনেক সময় মানুষই মনে করে না। তাদের চাওয়া-পাওয়া বা অধিকার সম্পর্কে দাবি-দাওয়ার তেমন কোন প্লাটফর্ম নেই। ফলে হিজড়াদের জীবন কাটে নীরবে, নিভৃতে।
বিশ্বের বহু দেশে হিজড়ারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। তারা তাদের প্রাত্যহিক জীবনের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের হিজড়াদের মত কারো করুণা বা অন্যের বিরক্তের কারণ হয় না বরং তারা তাদের দেশে আত্মনির্ভরশীল। ব্যবসা, রাজনীতি, শিক্ষা, চাকরি এমনকি বাহিরের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তৃতীয় লিঙ্গের অনেকেই কাজ করে থাকে। আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর তথ্য অনুযায়ী দেশে হিজড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬৬২৯ জন তবে বেসরকারি হিসাব মতে এই সংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক। আমাদের সংবিধানের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ১৫ এর (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হিজড়াদের জন্য অধিকারগুলো সুনিশ্চিত করা দরকার। মানুষ হিসেবে হিজড়াদের সামাজিক স্বীকৃতি ও মৌলিক অধিকারের প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবী। সামাজিকভাবে যথেষ্ট মর্যাদা না পাওয়ায় হিজড়ারা নিজেদেরকে ভিন্ন গ্রহের প্রাণী মনে করে যার ফলশ্রুতিতে সমাজবহির্ভূত বা অন্যায় সব কাজে তারা ঝুঁকে পড়ছে। পরিবার ও সমাজ যখন তাদেরকে স্বাভাবিক চোখে দেখে না তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা গুলো তাদের জন্য আপনা আপনিই বন্ধ হয়ে যায়। হিজড়াদেরকে সামাজিকভাবে গ্রহণ না করার ফলে তারা তাদের মৌলিক চাহিদা ও কর্মসংস্থান সহ নানা স্থানে বিড়ম্বনার শিকার হয়। সাম্প্রতিক সময়ে হিজড়াদের জীবনের উপর বেশ কিছু ফিল্ম ও ডকুমেন্টারি তৈরি হয়েছে। বেসরকারি পরিসংখ্যান মতে দেশে লক্ষাধিক হিজড়া রয়েছে। তারাও তো চায় তাদের শিক্ষার সুযোগ, যোগ্যতানুযায়ী কর্মের সুযোগ, তাদের অধিকার ও সুষ্ঠুভাবে বেচে থাকবার সুযোগ। তারাও ত চায় অন্য ৮-১০ জন মানুষের মত পরিবারের সাথে সমাজবদ্ধ হয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে জড়াতে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হিজড়ারা মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পেলে সমাজের স্বীকৃত মানুষ হিসেবে বসবাস করার অধিকার পেলে তারা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবদান রাখতে পারতো। তাদেরকে মানুষ তো দূরের কথা সমাজের এক শ্রেণীর লোকের কাছে তাদের দেখলেই এক ধরনের নাক ছিটকানো, লাঞ্ছনা,প্রবঞ্চনা তীব্র প্রতিচ্ছবি লক্ষ্য করা যায়। হিজড়ারা যেন ভিক্ষাবৃত্তি বা কোন ধরনের অপকর্মে না জড়ায় সেজন্য তাদেরকে তাদের যোগ্যতানুযায়ী কর্মের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। হিজরাদের সমান অধিকার নিশ্চিতে সবার সম্মিলিত উদ্দ্যোগ প্রয়োজন। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সহায়তায় এ বিশাল জনগোষ্ঠীর দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করলে তাদের মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে জনসম্পদে রূপান্তরিত করা যেতে পারে। বাংলাদেশ সরকার ২০০৮ সালে হিজড়াদের ভোটাধিকার প্রদান করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে আইনের প্রয়োগ ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের মাধ্যমে এ বিশাল জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক দৃশ্যপটে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব। এমতাবস্থায় হিজড়া জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা ,প্রশিক্ষণ ও জীবনমান উন্নয়নে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি সুষ্ঠু তদারকির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মাহমুদুল হক হাসান
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি
- স্বামী মারা যাওয়ার কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে স্ত্রীর মৃত্যু
- ‘আগামী পাঁচ বছরে যুব উন্নয়নে ৫হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করা হবে’
- কোরআন ও হাদিসের আলোকে ইসলামী দাওয়াত এর গুরুত্ব!
- সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে জেসিআই ঢাকা এস্পায়ার
- বানিাচংয়ে বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু
- ডোমারে পলিব্যাগে মোড়ানো নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
- সরকারী কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণা, অবশেষে পুলিশের কাছে গ্রেফতার
- খানসামায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন
- রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা থাকলেই ন্যূনতম কর ২ হাজার
- পিএসজি ছাড়ছেন মেসি
- শৈলকুপায় স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্ত্রী’র যাবজ্জীবন কারাদন্ড
- দাম কমবে যেসব পণ্যের
- দাম কমছে ইন্টারনেটের
- যেসব পণ্যের দাম বাড়বে
- সব সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব
- এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ
- ফুলবাড়ী সরকারি কলেজে নবাগত শিক্ষার্থীদের বরন ও শ্রেণীপাঠ উদ্বোধন
- জয়পুরহাটে এলজিইডির মান নিয়ন্ত্রণ ল্যাবেরেটরি উদ্বোধন
- পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৫
- শেরপুরে তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
- ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট হবে গরিববান্ধব: অর্থমন্ত্রী
- এবার হলিউডে পা রাখছেন সামান্থা
- পাসপোর্ট পেলেন সম্রাট, চিকিৎসার জন্য যেতে পারবেন বিদেশ
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কী পদক্ষেপ, জানতে চাইলেন জাপানি রাষ্ট্রদূত
- ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ ১৭ জুলাই
- ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে বিধবা দাদিকে বিয়ে করলেন নাতি
- গুণগত মানসম্পন্ন প্রকৌশল কাজই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
- বিদ্যুতের ঘাটতি ৩০০০ মেগাওয়াট, সারা দেশে লোডশেডিং
- নাইজেরিয়ার কাছে হেরে বিদায় স্বাগতিক আর্জেন্টিনার
- তিউনিসিয়াকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল
- মার্টিনেজকে আনতে তৎপরতা শুরু করেছে বিকাশ
- কানাডায় ভয়াবহ দাবানল, ঘর ছাড়া ১৬ হাজার মানুষ
- বিএনপি নেতা খায়রুল কবিরের বাড়িতে আগুন
- ঢাকায় থাপ্পড় পার্টির সন্ধান
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এরদোয়ানের ফোন
- পে-স্কেল না হলেও সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়বে
- রাজধানীতে বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা কানাডা প্রবাসী নারীর মরদেহ উদ্ধার
- সরকারি ব্যয়ে আকাশপথে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ স্থগিত
- মহালছড়িতে কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে সমন্বয় সভা
- চিলমারীতে বাড়ী-ভিটা রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন
- সরকারি ব্যয়ে আকাশপথে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ স্থগিত
- ইবিতে গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
- রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসন চায় ওআইসি
- জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো দেশের প্রথম ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
- ওরিয়েন্টেশনে অতিথির বক্তব্য চলাকালে মারামারি করল ইবির নবীন দু’গ্রুপ
- বিদ্যুতের ঘাটতি ৩০০০ মেগাওয়াট, সারা দেশে লোডশেডিং
- লক্ষ্য ও স্বপ্নপূরণে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান এরদোয়ানের
- আরব আমিরাতে ফার্নিচার কারখানায় আগুনে ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু
- মির্জাপুরে মতবিনিময় করলেন আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সানি
- চীনের আদা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা
- রামগড়ে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তিতে আনন্দ শোভাযাত্রা
- দ্বিতীয় মেয়াদে মালদ্বীপ-বাংলা সাংবাদিক ইউনিটির পরিচিতি ও সংবর্ধনা
- অশান্তি, সংঘাত চাই না: প্রধানমন্ত্রী
- নতুন ট্রেনের নাম ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’ করার দাবিতে মানববন্ধন
- আক্কেলপুরে কৃষকদের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ
- কালীগঞ্জে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত
- ইবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নবীন বরণ অনুষ্ঠিত
- তিউনিসিয়াকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল
- শীতকালীন প্রকৃতি ও মানব জীবনের পরিবেশ দর্শন
- বাংলাদেশে ই-কমার্সের সমস্যা ও সম্ভাবনা
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা
- প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় জীববৈচিত্র্যের ভূমিকা
- বাঙালির জাতীয় জীবনে গৌরবময় ও ঐতিহ্যপূর্ণ দিন ২১ ফেব্রুয়ারি
- হারিয়ে যেতে বসেছে যৌথ পরিবারের সুবিধা ও বন্ধন
- জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি: শেখ হাসিনা দীর্ঘজীবী হোন
- পথশিশুর ঠিকানা কি পথেই থেকে যাবে?
- ‘বিজয় দিবস’ আনন্দ ও আত্ম জিজ্ঞাসার প্রশ্নে
- জাতির জনকের জন্ম শত বার্ষিকী, কিছু কথা কিছু প্রত্যাশা
- সমাজের এক নিবেদিত প্রাণ শাপলা ত্রিপুরা
- বহুমুখী প্রতিভাময়ী কুসুম কুমারী দাশ
- উহান থেকে ঢাকা : প্রসঙ্গ কোভিড-১৯
- ঢাকাই জামদানির জানা-অজানা
- ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী ও সমকালীন ভাবনা