গৃহস্থালির ‘অদৃশ্য শ্রম’
আসাদুর রহমান
প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২০

ছবি - সংগৃহীত
রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় শাকসবজি কোটা-বাছার কাজ করেন শিউলী বেগম (৪৫)। মজুরি দিনে ২০০ টাকা। তাঁর এই শ্রম ও মজুরির হিসাবটা দেশের অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অন্যদিকে সংসারজীবনে তিনি এই একই কাজ ২৫ বছর ধরে করে যাচ্ছেন।
শিউলী বেগমের মতো বাংলাদেশের কয়েক কোটি নারীর গৃহস্থালির এই শ্রম পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র মূল্যায়ন করে ‘অদৃশ্য শ্রম’ হিসেবে। বিভিন্ন গবেষণা, অর্থনীতি বিশ্লেষক এবং মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, নারীর গৃহস্থালির কাজ মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) অন্তর্ভুক্ত হলে জাতীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সাংসারিক কাজের যে বোঝা, সেটা পুরুষের চেয়ে নারীকে ১৫ গুণ বেশি বহন করতে হয়। পারিবারিক কাজে যে শ্রম ব্যয় হয়, তার ৮০ শতাংশই দিতে হয় নারীদের। সাংসারিক কাজ করতে হয় ৪৫ রকমের। গবেষণা বলছে, গৃহস্থালির নৈমিত্তিক কাজ পেশাজীবীর মাধ্যমে করাতে গেলে পারিশ্রমিক হিসেবে প্রতি মাসে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। এই হিসাবে জাতীয় অর্থনীতিতে নারীর গৃহস্থালির কাজের বার্ষিক অর্থমূল্য দাঁড়ায় ৯০১ থেকে দুই হাজার কোটি ডলার।
এ নিয়ে গবেষণা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত। তাঁর গবেষণায় দেখা গেছে, সরকারি হিসাবে জিডিপিতে নারীর অবদান ২০ শতাংশ হলেও তাঁরা গৃহস্থালিতে যে শ্রম দেন, এর আনুমানিক মূল্য আড়াই লাখ কোটি টাকা। সেই হিসাবে জিডিপিতে নারীর অবদান দাঁড়াবে ৪৮ শতাংশ।
গৃহস্থালির ‘অন্তহীন’ এই শ্রম নারীর ওপর কী ধরনের শারীরিক ও মানসিক প্রভাব ফেলে, সে বিষয়ে গত জানুয়ারিতে একটি গবেষণাপত্র ছাপা হয় ‘সেক্স রোলেস’ সাময়িকীতে। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণির ৩৯৩ জন বিবাহিত নারীর ওপর করা হয়েছে গবেষণাটি। এদের মধ্যে ৯০ শতাংশ নারী বলেছেন, স্বামীর মোজা খুঁজে দেওয়া থেকে শুরু করে সংসারের সব কাজের বোঝা তাঁদের বহন করতে হয়। আর এটি করতে গিয়ে অনেক নারীর কাজে নিজের জীবন নিয়ে পরিতৃপ্তি কমে যায়। নেতিবাচক প্রভাব ফেলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও।
একজন নারী গড়ে ১৬ থেকে ২০ ঘণ্টা সময়ে প্রায় ৪৫ ধরনের কাজ করে থাকেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এখনো ৮০ শতাংশ নারী পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দ্বারা সহিংসতা, শোষণ, বৈষম্য ও অমানবিকতার শিকার।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, গৃহস্থালির কাজ নারীর জন্য ‘দ্বিগুণ যন্ত্রণার’ (ডাবল পেইন) কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সারা দিন বাইরে শ্রম দিয়ে ঘরে ফিরে অনেক নারীকে গৃহস্থালির কাজ করতে হয়। এই শ্রম তাঁকে কেবল শারীরিক কিংবা অর্থনৈতিকভাবে শোষণ করে না, মানসিকভাবেও নারী অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক তানিয়া হক বলেন, ‘আমরা বাইরের শ্রমবাজারকে গুরুত্ব দিয়ে চলি। উন্নয়নকে ফোকাস করি। কিন্তু উন্নয়ন মানেই আমরা হিসাব করি, শ্রমবাজারে নারী কতটা অবদান রেখেছে। এই হিসাবে ঘরের কাজও বিবেচনায় নিতে হবে। কিন্তু এখনো ঘরের কাজকে নারীর কাজ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। ঘরের কাজে পুরুষের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। এই বিষয়টার দ্রুত পরিবর্তন হওয়া দরকার। না হলে নারী বাইরের শ্রমবাজার ছেড়ে আবার ঘরে ফিরে আসবে।’
অর্থনীতিতে গৃহস্থালির কাজে স্বীকৃতির জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ (এমজেএফ)। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, “গৃহস্থালির কাজের স্বীকৃতি না থাকায় নারী ঘরেও প্রাপ্য সম্মানটুকু পান না। নারীর প্রতি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও নারীর অবদানের স্বীকৃতি প্রদান করার মাধ্যমে নারীর মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা যৌথভাবে ‘মর্যাদায় গড়ি সমতা’ শীর্ষক প্রচারাভিযান চালিয়ে আসছি।”
- পাঁচবিবিতে ছাত্রলীগের ৭৩ প্রতিষ্ঠা বাষির্কী পালিত
- দ্বিতীয় দফায় ভাসানচরে যাচ্ছে ৪২৭ পরিবার রোহিঙ্গা
- পদ্মায় ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধার কাজে বিলম্ব
- ভারত আমাদের অন্যতম বন্ধু প্রতিম প্রতিবেশী দেশ- হাই কমিশনার ইমরান
- টেকনাফে ২ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবাসহ মিয়ানমারের ৭ নাগরিক আটক
- নোয়াখালীতে তথ্য প্রযুক্তি আইনে গুজব রটানোর অভিযোগে গ্রেফতার ১
- মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ৪ লাশ উদ্ধার
- শিবগঞ্জে মাদক, বাল্যবিবাহ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে সমাবেশ
- রামগড় পৌর বিএনপি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- করোনার টিকা নিরাপদ, অযথা ভয় পাবেন না: মোদি
- গৃহহীন ৬৬ হাজার পরিবারকে ঘর দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- সিনেটে ট্রাম্পের বিচার শুরু হবে ফেব্রুয়ারিতে
- নেতাজির ১২৫তম জন্মদিন: জয়বাংলা-জয়হিন্দ
- খাগড়াছড়ির নাথা পাড়ার শিশুদের বই পৌঁছে দিলেন পাজেপ সদস্য খোকনেশ্বর ত্রিপুরা
- গুইমারায় অসহায়দের মাঝে শীতের উষ্ণতা ছড়ালেন মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু
- সারাবিশ্বে করোনায় মৃত্যু ২১ লাখ ছাড়াল
- সিরাম ইনস্টিটিউটে অগ্নিকান্ডে ১০০০ কোটি টাকার ক্ষতি
- গৃহহীনদের কাছে ঘর হস্তান্তর করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- ১৪৮ রানে গুটিয়ে গেল উইন্ডিজ
- রামগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুল ছাত্র নিহত
- ভ্যাকসিন উপহার দেয়ায় মোদিকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
- টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
- সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণে গিয়ে বাঘের থাবায় দুই জেলে নিহত
- মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলেন বাইডেন
- কর্নাটকে পাথর কোয়ারিতে বিস্ফোরণ, নিহত ৮
- বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু ২১ লাখ ছাড়াল
- ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন সিনিয়র সিটিজেন
- করোনা মোকাবেলায় ১০ নির্বাহী আদেশে বাইডেনের সই
- ফেব্রুয়ারিতে খুলতে পারে শিক্ষাঙ্গন
- করোনা ভাইরাসে দেশে আরো ১৬জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫৮৪
- মির্জাপুরে পর্ণোগ্রাফি মামলায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা হিমেল আটক
- ভারতে টিকা উৎপাদনকারী সেরাম ইনস্টিটিউটে আগুন
- পিকে হালদারের মেয়ে অনিন্দিসহ প্রধান সহযোগী গ্রেফতার
- বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে করোনা মোকাবিলা করবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
- লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবে ৪৩ শরণার্থীর মৃত্যু
- প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরল যুক্তরাষ্ট্র
- ছোট ভাইয়ের হাতে বড় বোন খুন! ভাই আটক
- খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট কর্তৃক গুণীজন সংবর্ধনা
- ১৪৮ রানে গুটিয়ে গেল উইন্ডিজ
- মির্জাপুরে মাটি ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ভ্রাম্যমাণ আদালতের
- শিশু জিহাদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
- মির্জাপুরে পর্ণোগ্রাফি মামলায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা হিমেল আটক
- করোনা ভাইরাসে দেশে আরো ১৬জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫৮৪
- ঢাকার হাসপাতালে শুরু হচ্ছে বঙ্গভ্যাক্স টিকার ট্রায়াল
- লক্ষ্মীপুরে ইটভাটা শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার!
- প্রতিদিন করোনার টিকা দেয়া হবে ২ লাখ ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- আ’লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হলেন সুমগ্ন করিম
- খাগড়াছড়িতে ৪৩তম ককবরক দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা
- সুবর্ণজয়ন্তীতেই মৈত্রী সেতু উদ্বোধনের সম্ভাবনা, অপেক্ষায় দুই বাংলার মানুষ
- নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
- মির্জাপুরে ডাকাতের কবলে পড়ে ট্রাক চালকের মৃত্যুর ঘটনায় আটক ৩
- রামগড়ে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছেন অসহায় ভূমিহীনরা
- খাগড়াছড়িতে ককবরক দিবসে ভাষা সাহিত্য প্রতিযোগীতার পুরষ্কার বিতরণী
- ককবরক ভাষা সৈনিক ধনঞ্জয় ত্রিপুরার প্রতি খাগড়াছড়িতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
- রাজধানীর কলাবাগানে তরুণী ধর্ষণ নিয়ে কিছু কথা
- হুমায়ুন কবীর বালু হত্যা মামলায় ৫ আসামির যাবজ্জীবন
- মেলান্দ মাদারগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টিতে যোগদান ও মতবিনিময়
- পুরো মাসজুড়েই থাকবে শীতের প্রকোপ