দোয়ারাবাজারে ৪০টি হিন্দু মুসলিম পরিবারের বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন

আশঙ্কায় শতাধিক ঘরবাড়ী হুমকিতে পুর্ব মাছিমপুর গ্রামের হিন্দু মুসলিম পরিবার। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সুরমা নদীর পানি কমার সাথে সাথে নদীর তীরে বসবাস রত পূর্ব মাছিমপুর গ্রামের বাড়িঘর সুরমা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে। গত এক সপ্তাহে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মাছিমপুর  গ্রামের প্রায় ৪০ টি বাড়ী। হুমকির মুখে রয়েছে  আরো শতাধিক বাড়ীঘর।

ইতিমধ্যে ছাতক দোয়ারাবাজার আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক এমপি'র সহযোগীতায় নদী ভাঙনে আশ্রয় নেওয়া ২৭ টি হিন্দু ও মুসলিম পরিবার দোয়ারাবাজার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় নেওয়া ২৭ টি পরিবার হল, পুর্ব মাছিমপুর গ্রামের প্রিয়মন দাস, বাবুল দাস, অতুল দাস,রাজেন্দ্র দাস, ভুষণ দাস, রতিশ দাস, নরেশ দাস, সুকেশ দাস, বক্ত দাস, নিরঞ্জন দাস, বিক্রম দাস, অরুণ দাস, যোতিশ দাস, প্রনব দাস, শ্যামল দাস, প্রবিত্র দাস, বলরাম দাস, মাসুক মিয়া, সমিজুল মিয়া, ইন্তাই মিয়া, ফয়সল, সমসুদ্দি মিয়া, সিরাই মিয়া,  আলী ফরিদ, জামাল মিয়া, নাজমুল  আরও অনেকের বাড়িঘর নদী ভাঙনের ঝুকিতে রয়েছে।
অনেক পরিবার তড়িঘড়ি করে তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। অনেকে আত্বীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।   

আজ সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুরমা নদীর ভাঙনে দিশেহারা পূর্ব মাছিমপুর   গ্রামের মানুষে অসহায়ত্বের চিত্র। ঘরবাড়ি হারা  ক্ষতিগ্রস্তরা জানান , হঠাৎ নদীর পানি কমে যাওয়ায় সুরমা নদীর ভাঙন ভেড়েছে।

কিছুক্ষণ পর পর নদীর পাড় ভেঙে পড়ছে। অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সুরমা নদীর তীরবর্তী পূর্ব মাছিমপুর গ্রামের লোকজন।
 

সদর ইউনিয়নের সম্ভাব্য ইউপি সদস্য প্রার্থী আমিনুল হক বলেন, নদী ভাঙন কবলিত মানুষ জন খুবই অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছে। স্থানীয় সংসদ মুহিবুর রহমান মানিক মহোদয়ের সহযোগীতায় প্রায় ২৭ টি পরিবার দোয়ারাবাজার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থান করছে। দ্রুত তাদের পূর্ণবাসন করা প্রয়োজন।            
 

আরো পড়ুন: সরকার কখনো রোহিঙ্গাদের বিপদে ফেলবে না: পররাষ্ট্র মন্ত্রী

উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল খালেক জানান, নদী ভাঙন এলাকার মানুষের জন্য সংসদ সদস্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।