Berger Paint

ঢাকা, সোমবার   ০৫ জুন ২০২৩,   জ্যৈষ্ঠ ২২ ১৪৩০

ব্রেকিং:
চট্টগ্রাম, গাজীপুর, কক্সবাজার, নারায়ানগঞ্জ, পাবনা, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ ব্যুরো / জেলা প্রতিনিধি`র জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন পাঠানোর আহ্বান করা হচ্ছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা- স্নাতক, অভিজ্ঞদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য। দৈনিক প্রতিদিনের চিত্র পত্রিকার `প্রিন্ট এবং অনলাইন পোর্টাল`-এ প্রতিনিধি নিয়োগ পেতে অথবা `যেকোন বিষয়ে` আর্থিক লেনদেন না করার জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের এবং প্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হল।
সর্বশেষ:
গরমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস ৪ দিন বন্ধ রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে এরদোয়ানের কুশল বিনিময় ইউক্রেনের আবাসিক এলাকায় রাশিয়ার বিমান হামলা শীতলক্ষ্যায় জাহাজের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮

ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে প্রতিদিন শাহবাগে চলবে প্রতিবাদ কর্মসূচি

প্রতিদিনের চিত্র ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২০  

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

 

সারা দেশে চলমান ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ ৯ দফা দাবি উঠেছে শাহবাগের মহাসমাবেশ থেকে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে রাত পর্যন্ত শাহবাগে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি চলবে। 

 

গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছন্দে ছন্দে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ করে্ছেন। 'মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় ধর্ষকদের ঠাঁই নাই', ধর্ষক লীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, 'এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন', পাহাড় কিংবা সমতলে, লড়াই হবে সমানতলে' এইসব স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।

 

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ধর্ষণের মনস্তত্ত্ব সমাজ থেকে দূর করতে রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আন্দোলনেরও প্রয়োজন আছে। সামাজিকভাবে ধর্ষকদের ও ধর্ষকের পৃষ্ঠপোষকদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।

 

গত কালকের মহাসমাবেশ থেকে ‘নয় দফা’ দাবি তুলে ধরেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন। দাবিগুলো হলো-

১. দেশব্যাপী অব্যাহত ধর্ষণ ও নারীদের প্রতি সহিংসতার সঙ্গে সম্পৃক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। ধর্ষণ, নিপীড়ন বন্ধ ও বিচার করতে ব্যর্থ হওয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।

২. পাহাড় এবং সমতলে সকল আদিবাসী নারীদের ওপর সামরিক অথবা বেসামরিক সব ধরনের যৌন ও সামাজিক নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে।

৩. মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে নারী নির্যাতন বিরোধী সেল গঠন ও কার্যকর করতে হবে। Committee on the Elimination of all forms of discrimination against Women (CEDAW) সিডো সনদে বাংলাদেশকে স্বাক্ষর ও দেশে তার পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক সব ধরণের আইন ও প্রথা বিলোপ করতে হবে।

৪. ধর্মীয় এবং সব ধরনের সভা-সমাবেশে নারী বিরোধী বক্তব্য রাষ্ট্রীয়ভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে।  সিনেমা, নাটক, সাহিত্য ও বিজ্ঞাপনে নারীদের পণ্য হিসেবে উপস্থাপন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। বিটিসিএলকে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে। সুস্থধারার সাংস্কৃতিক চর্চায় সরকার থেকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।

৫. যেকান মামলার তদন্তকালীন সময় পর্যন্ত ভিক্টিমকে মানসিক নিপীড়ন ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। অবশ্যই ভিক্টিমের পক্ষে আইনগত ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৬. দেশের অপরাধবিজ্ঞান ও জেন্ডার বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে 'নারী ও শিশু নির্যাতন' দমন ট্রাইব্যুনালে । দ্রুত ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বৃদ্ধি করে সকল অনিষ্পন্ন মামলা দ্রুত নিস্পত্তি করতে হবে।

৭. বিলোপ করতে হবে ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে সাক্ষ্য আইন ১৮৭২-১৫৫(৪) ধারাকে  এবং মামলার ডিএনএ আইনকে সাক্ষ্য প্রমাণের ক্ষেত্রে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে হবে।

৮. দেশের সকল পাঠ্যপুস্তকে নারীদের প্রতি অবমাননা ও বৈষম্যমূলক যে কোনো প্রবন্ধ, নিবন্ধ, গল্প, পরিচ্ছেদ, ছবি, নির্দেশনা ও শব্দ চয়ন পরিহার করতে হবে।

৯. দেশব্যাপী গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ধর্ষণের অভিযোগকে ধামাচাপা দেওয়ার প্রচেষ্টাকে আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে।

 

 

 

এই বিভাগের আরো খবর