Berger Paint

ঢাকা, শনিবার   ০৩ জুন ২০২৩,   জ্যৈষ্ঠ ১৯ ১৪৩০

ব্রেকিং:
চট্টগ্রাম, গাজীপুর, কক্সবাজার, নারায়ানগঞ্জ, পাবনা, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ ব্যুরো / জেলা প্রতিনিধি`র জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন পাঠানোর আহ্বান করা হচ্ছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা- স্নাতক, অভিজ্ঞদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য। দৈনিক প্রতিদিনের চিত্র পত্রিকার `প্রিন্ট এবং অনলাইন পোর্টাল`-এ প্রতিনিধি নিয়োগ পেতে অথবা `যেকোন বিষয়ে` আর্থিক লেনদেন না করার জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের এবং প্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হল।
সর্বশেষ:
রাজধানীতে বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা কানাডা প্রবাসী নারীর মরদেহ উদ্ধার পে-স্কেল না হলেও সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এরদোয়ানের ফোন বিএনপি নেতা খায়রুল কবিরের বাড়িতে আগুন নাইজেরিয়ার কাছে হেরে বিদায় স্বাগতিক আর্জেন্টিনার বিদ্যুতের ঘাটতি ৩০০০ মেগাওয়াট, সারা দেশে লোডশেডিং

নকলায় শিশু ধর্ষণ: ১৩বছর পালিয়েও রক্ষা হলোনা সাঁজাপ্রাপ্ত আল-আমিনের

নাইমুর রহমান তালুকদার, শেরপুর

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৩  

 

শেরপুরের নকলা থানাধীন চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলায় ১৩ বছর আত্মগোপনে থাকা যাবজ্জীবন সাঁজাপ্রাপ্ত আসামি মোঃ আল-আমিন (৩২) কে নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪। বৃহস্পতিবার (২৫ মে)দিবাগত রাতে গ্রেফতার করে তাকে। সে নকলা উপজেলার টালকী ইউনিয়নের নয়াবাড়ী এলাকার মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে।গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান।

 

র্যাব সূত্র জানায়, ভিকটিম নকলা উপজেলার স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণীতে পড়ালেখা করতেন। মোঃ আল-আমিন পাশাপাশি বাড়ীর বাসিন্দা।২০১০ সালের মার্চের ১৮ তারিখে ভিকটিম স্কুল ছুটির পর স্কুল হতে বাড়ী ফেরার পথে অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার সময় বিদ্যালয়ে হতে ২০০ গজ পূর্বে পাঁকা রাস্তার কালভার্টের নিকট পৌছানো মাত্রই কালভার্ট সংলগ্ন আড়া ছনের আড়ালে শুকনা ড্রেনে নিয়ে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আল-আমিন ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মুখ চেপে ধরিয়া জোড়পূর্বক ধষর্ণ করে অতঃপর বিবাদী দৌড়ে পালিয়ে যায়। ধর্ষণের পর ভিকটিম কাঁদিতে কাঁদিতে বাড়ীতে গিয়ে তার মায়ের নিকট উক্ত ঘটনা জানায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মোঃ আবু সাঈদ নকলা থানায় হাজির হইয়া বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১) ধর্ষণ মামলা রুজু হয়(মামলা নং-০৯, তারিখ-১৮/০৩/২০১০ ইং )।

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলা সুষ্ঠু তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২০২০ সালের ১৮ মার্চে মোঃ আল-আমিন (৩২) এর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ০৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।

 

ঘটনার পর থেকেই আসামী মোঃ আল-আমিন ১৩ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তিনি নারায়নগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এবং সিএনজি চালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। অতঃপর বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসামির অবস্থান সনাক্ত করে কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান এর নেতৃত্বে র্যাবের একটি অভিযানিক বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন বরপা এলাকা হতে মোঃ আল-আমিনকে তার আত্মীয়ের বাসা হতে আটক করে। ধৃত আসামীকে নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানাগেছে।

 

এই বিভাগের আরো খবর