প্রতিদিনের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক হলেন অয়ন আহমেদ

 

দেশের জাতীয় দৈনিক 'প্রতিদিনের চিত্র' পত্রিকার সম্পাদক হলেন অয়ন আহমেদ। প্রকাশক অয়ন আহমেদে এর সম্পাদনায় সত্য প্রকাশে নির্ভিক শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে পত্রিকাটি রাজধানী ঢাকা থেকে প্রকাশিত হচ্ছে বিগত ৫ বছর ধরে।

 

অয়ন আহমেদ জানিয়েছেন, দায়িত্ব বুঝে নেবার পর পত্রিকাটি পাঠকপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে অন্যভাবে ঢেলে সাজাতে চান তিনি । সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্য এ পত্রিকাটি নিয়মিত প্রকাশনা হয়ে আসছে।। তিনি আশাবাদী আগামী ১লা জুলাই থেকে প্রতিদিনের চিত্র হাজির হবে ভিন্নতায় এবং এক অনন্য অভিযাত্রায়।

 

অয়ন আহমেদ ১৯৯৫ সাল থেকে চট্টগ্রাম বেতারের সংবাদ পাঠক হয়ে এই জগতে প্রবেশ করেন। বলতে গেলে প্রায় ২দশক অধিক সময় ধরে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত । চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক আজাদীতে রিপোর্টার দিয়ে সংবাদ পত্রে কাজ শুরু। ঢাকার পত্রিকা মাসিক প্রভাতের ডাক, মাসিক শতাব্দির দৃষ্টিকোণ, পাক্ষিক আলফা এরং সর্বশেষ দৈনিক এশিয়া বাণী পত্রিকায় সহযোগী সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন।

 

এর পর টানা ২০১৩ সালে নিজে সাপ্তহিক 'প্রতিদিনের চিত্র' প্রকাশনা দিয়ে প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে সংবাদপত্র জগতে নতুন পদচারণা শুরু করেন। । বর্তমানে তিনি নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিদিনেরচিত্র বিডি ডট কম এর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

 

অয়ন আহদেম খাগড়াছড়ি পানখাইয়া পাড়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে এস এস সি, হাটহাজারী কলেজ থেকে এইচ এস সি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউট থেকে করেছেন সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা।

 

বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রকল্পে চতুর্থ ব্যাচে তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সেখান থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার কবিতার বই- শময়িতাদের বাড়ি । বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউট,এশিয়াটিক সোসাইটি ও বাংলা একাডেমির বিভিন্ন গবেষনা কর্মে তিনি কাজ করেছেন । বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থে তিনি একজন লেখক ।

 

সাংবাদিক অয়ন আহমেদ পৃথিবীর বহু দেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। ২০০১৬ সালে তিনি ১০ম উত্তর আমেরিকান বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনে অংশ নেন। এ ছাড়া চীন,মালেশিয়া, নেপাল ও ভারতে আরো বেশ কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উজ্জ্বল করেছেন দেশের ভাবমূর্তি ।

 

সাহিত্যের প্রায় সকল শাখায় বিচরণ করলেও লোক সাহিত্যে তার বিশেষ অবদান আছে ।তার উদ্যোগে ঢাকায় ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জাতীয় হাছন উৎসব । লোক সাহিত্যে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বই – মরমী কবি হাছন রাজা ও তার জীবন দর্শন ।

 

তার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের মধ্যে আছে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও বিকল্প গণমাধ্যম,অজবীথি ,বন পরযটক, নীল কৃষ্ণচূড়া , পূর্ব থেকে পশ্চিমে ,জলে স্থলে অন্তরীক্ষে, হিমালয় কন্যার হাসি,তুমুল তুষার বৃষ্টি , আগুন পিপাসা, পাথরের চোখ প্রভৃতি।

 

নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে । সম্প্রতি তিনি শিল্পকলা একাডেমির অর্থায়নে নির্মিত রবীন্দ্রনাথের ডাকঘর চলচ্চিত্রে একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন । চলচ্চিত্রে অবদান রাখার জন্য পেয়েছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা ২০১৮।

 

বাংলাদেশ গণগ্রন্থাগার আয়োজিত একুশে প্রতিযোগিতায় তিনি কবিতা বিভাগে চট্রগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম হয়েছিলেন । কবিতার জন্য তিনি পেয়েছেন বাংলাদেশ রাইটার্স ফাউন্ডেশন পদক ২০০৫ ।