মুকুল কান্তি ত্রিপুরার ‘এমাংনি খুমতাং’ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

ত্রিপুরা ভাষায় রচিত মুকুল কান্তি ত্রিপুরার প্রথম কাব্যগ্রন্থ এমাংনি খুমতাং মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। যার বাংলা অর্থ স্বপ্নের পুষ্পমাল্য। মঙ্গলবার (১৬মার্চ ২০২১খ্রিঃ) সন্ধ্যায় রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র ‍নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে কাব্যগ্রন্থের মোড়ক ও প্রচ্ছদ উন্মোচন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেতার রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ সেলিম, বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার মৃত্তিকা চাকমা, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রীতি কান্তি ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুরেশ কান্তি ত্রিপুরা, বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত কথা সাহিত্যিক শোভা রাণী ত্রিপুরা, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক হাসান মনজু, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর  টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) খোকনেশ্বর ত্রিপুরা (খুমুই) প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা মুকুল কান্তি ত্রিপুরা। এসময় তিনি বরেন, ‘এমানিং খুমতাং’ ত্রিপুরা ভাষার দু’টি শব্দ। যার বাংলা অর্থ স্বপ্নের পুষ্পমাল্য। জুম-পাহাড়ের বৈচিত্র্যময় চিত্রগুলো এবং মনের গহীনের অব্যক্ত কথামালার মিশ্রিত প্রতিফলন হলো ‘এমানিং খুমতাং’।

প্রসঙ্গত, মুকুল কান্তি ত্রিপুরা; রাঙ্গামাটি পাবলিক কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার রাম রতন কার্বারী পাড়ার খোকা রঞ্জন ত্রিপুরা ও কনিকা ত্রিপুরা দম্পত্তির জ্যেষ্ঠ সন্তান। তাঁর লেখালেখি শুরু কৈশবে ছড়া, কবিতা মধ্য দিয়েই। এমাংনি খুমতাং ছাড়াও তিনি আরও বেশ কয়েকটি গ্রন্থ লেখা ও সম্পাদনা করেছেন।