Berger Paint

ঢাকা, সোমবার   ২০ মার্চ ২০২৩,   চৈত্র ৬ ১৪২৯

ব্রেকিং:
চট্টগ্রাম, গাজীপুর, কক্সবাজার, নারায়ানগঞ্জ, পাবনা, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ ব্যুরো / জেলা প্রতিনিধি`র জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন পাঠানোর আহ্বান করা হচ্ছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা- স্নাতক, অভিজ্ঞদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য। দৈনিক প্রতিদিনের চিত্র পত্রিকার `প্রিন্ট এবং অনলাইন পোর্টাল`-এ প্রতিনিধি নিয়োগ পেতে অথবা `যেকোন বিষয়ে` আর্থিক লেনদেন না করার জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের এবং প্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হল।
সর্বশেষ:
মাদারীপুরে ১৯ যাত্রী নিহতের ঘটনায় বাস মালিকের বিরুদ্ধে মামলা পশ্চিমবঙ্গে অ্যাডিনোভাইরাসের থাবা, ১৯ শিশুর মৃত্যু আর্জেন্টিনাকে ১৩ গোল দিয়ে কোপার শিরোপা জিতল ব্রাজিল দেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ শেরপুরে ব্রীজের অভাবে দূর্ভোগে ১০ গ্রামের অর্ধলাখ মানুষ বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য পদক পাচ্ছে র‍্যাবের কুকুর ‘চিতা’ আজিমপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

রোজাদারকে ইফতার করানো অত্যন্ত সওয়াবের কাজ

হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩  

হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী। ছবি- প্রতিদিনেরচিত্র বিডি

হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী। ছবি- প্রতিদিনেরচিত্র বিডি

 

রোজাদার সূর্যাস্তের পর যে পানাহারের মাধ্যমে রোজা ভাঙে তাকে ইফতার বলে। রমজানের অন্যতম সুন্নত হলো ইফতার। ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা উত্তম। এ ছাড়া ইফতার সামনে নিয়ে যে দোয়া করা হয়, সেই দোয়া মহান আল্লাহর দরবারে গুরুত্বের সঙ্গে কবুল হয় বলে হাদিস শরিফে উল্লেখ রয়েছে।

 

খেজুর বা খুরমা দিয়ে ইফতার করা সর্বাপেক্ষা উত্তম। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে যেকোনো মিষ্টিজাতীয় বস্তু দিয়ে ইফতার করা ভালো। আর যদি এটাও সম্ভব না হয় তাহলে যেকোনো হালাল খাদ্য দিয়ে, এমনকি শুধু পানি দিয়েও ইফতার করা যায়।

 

রাসুলে করিম (সা.) এরশাদ করেছেন, তোমরা যখন ইফতার করো, তখন খুরমা বা খেজুর দিয়ে ইফতার করো, কেননা খুরমা বা খেজুরের মধ্যে বরকত রয়েছে, আর যদি খুরমা বা খেজুর পাওয়া না যায়, তাহলে পানি দিয়ে ইফতার করা ভালো, কেননা পানি পবিত্রকারী। হাদিসে পানিমিশ্রিত দুধ দিয়ে ইফতার করার হুকুমও বর্ণিত রয়েছে।

 

পবিত্র এই মাসে আল্লাহর বান্দারা পারস্পরিক উত্তম আমলের প্রতিযোগিতা করে। রোজাদারকে ইফতার করানোও অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। এবং রোজাদারের সওয়াবও কমানো হবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৮০৭)

 

সাহাবায়ে কেরাম এ কথা শুনে বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমাদের অনেকেরই রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, পানিমিশ্রিত এক কাপ দুধ বা একটি শুকনো খেজুর অথবা এক ঢোক পানি দিয়েও যদি কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তাতেও আল্লাহ তাকে সেই পরিমাণ সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তিসহকারে আহার করাবে, আল্লাহ তাআলা তাকে আমার হাউসে কাউসার থেকে এমন পানীয় পান করাবেন, যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করার আগ পর্যন্ত তৃষ্ণার্ত হবে না।

 

খাবার খাওয়ানোর ইবাদতের মাধ্যমে আরও অনেকগুলো ইবাদত পালিত হয়। নিমন্ত্রিত ভাইদের সাথে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা। যে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা জান্নাতে প্রবেশের কারণ। যেমনটি নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ঈমান আনা ছাড়া জান্নাত যেতে পারবে না। আর পারস্পারিক ভালোবাসা ছাড়া তোমাদের ঈমান হবে না।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫৪) মহান আল্লাহ পাক যেন মুসলিম উম্মাহকে উপরোক্ত কথা গুলোর উপর আমল করার তাওফিক দান করেন, আমিন।

 

লেখক : বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।