শিশুর শিক্ষার জগৎ গড়ে উঠুক আত্মবিশ্বাস
শুক্লা মজুমদার
প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২০

ছবি - সংগৃহীত
আনুষ্ঠানিক শিক্ষার প্রথম স্তর প্রাথমিক শিক্ষা। জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাকালকে শিক্ষা জীবনের প্রাথমিক শিক্ষা বলা হয়। জাতীয় জীবনে প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ শিক্ষা স্তরের মূল ভিত্তি প্রাথমিক শিক্ষা।
প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে একটি দেশের জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তর করা সম্ভব। তাই প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য জাতিসত্তা, আর্থ-সামাজিক, শারীরিক-মানসিক সীমাবদ্ধতা এবং ভৌগলিক অবস্থান নির্বিশেষে দেশের সকল শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষার সমান সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
শিক্ষার এই স্তর পরবর্তী সকল শিক্ষা স্তরর ভিত্তি সৃষ্টি করে বলে যথাযথ মানসম্পন্ন-উপযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, আধ্যাত্মিক, নৈতিক, মানবিক ও নান্দনিক বিকাশ সাধন করা এবং তাদের দেশাত্ববোধ, বিজ্ঞান মনষ্কতা এবং সৃজনশীলতা ও উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শনে উদ্বুদ্ধ করাই প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে ১৩টি উদ্দেশ্য এবং ২৯টি প্রান্তিক যোগ্যতা নির্ধারণ করা আছে। বর্তমানে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিসহ গণ্য করলে একটি শিশু নির্ধারিত ২৯টি প্রান্তিক যোগ্যতা অর্জনের জন্য ছয়টি বছর সময় পায়। সময়টি যথেষ্ঠ। তবে মন্ত্রনালয়, সচিবালয় থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত আমরা যারা এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদনের কঠিন দায়িত্ব হাতে নিয়েছি তাঁদের সকলকে শিশুদের নিয়ে আরো গভীরভাবে ভাবতে হবে।
গবেষণা করতে হবে। দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে করে তুলতে হবে ‘শিশু স্বর্গ’। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতোই শিশুদের নিয়ে ভাবেন। বছরের প্রথম দিনেই সারাদেশে বই উৎসবের মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়া বর্তমান সরকারের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতভাগ শিশুকে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান ঝরে পড়া রোধে বর্তমান সরকারের এক সাহসী এবং কার্যকর প্রচেষ্টা। বিদ্যালয়কে শিশু বান্ধব করে সাজানোর জন্য আর্থিক বরাদ্দ প্রদান থেকে শুরু করে সকল প্রকার উদ্যোগ সরকার নিয়েছেন যা খুবই প্রশংসনীয়। বর্তমান সরকারের লক্ষ্য বিদ্যালয়ের পরিবেশ আকর্ষনীয় ও আনন্দময় করে তোলা। শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলার সুব্যবস্থা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষকের আগ্রহ, মমত্ববোধ ও সহানুভূতিশীল আচরণ এবং পরিচ্ছন্ন ভৌত পরিবেশসহ উল্লেখযোগ্য উপকরণের উন্নয়ন ঘটানো ইত্যাদি বিষয় নিশ্চিত করণে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীর জন্য পৃথক মানসম্পন্ন টয়লেটের ব্যবস্থা করার কার্যক্রম সারাদেশে চলমান। বিদ্যালয়ে শিশুদের শারীরিক শান্তি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিশুর জন্য একটি সুন্দর সাজানো-গুছানো বিদ্যালয় নামক বাগান তৈরি করাই সরকারের লক্ষ্য। এই মহৎ কাজে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালী শিক্ষানুরাগীদের সহযোগিতাও প্রয়োজন। আবার শিশুর জন্য সাজানো বাগানের পরিচর্যায় নিয়োজিত মালী যিনি তিনি হলেন শিক্ষক।
একজন শিক্ষক প্রথমেই শিশুর বন্ধু হবেন। মায়ের কিংবা বাবার হাত ধরে অপার বিষ্ময়বোধ, অসীম কৌতূহল, আনন্দবোধ ও অফুরন্ত উদ্যম এবং স্বপ্ন নিয়ে একটি শিশু প্রথম যেদিন বিদ্যালয় আঙিনায় প্রবেশ করবে সেদিনই শিক্ষক তাকে পরম মমতায় বরণ করে নেবেন। শিশু সম্পর্কে রেজিষ্টারে কোনো রেকর্ড রাখার প্রয়োজন হলে মা-বাবাকে প্রশ্ন করেই শিক্ষক তা সম্পন্ন করবেন। কোমলমতি শিশুকে কোনো প্রশ্নবানে বিদ্ধ করা যাবে না।
শিক্ষক হাত ধরে শিশুকে শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যাবেন। পরিচয় করিয়ে দেবেন শ্রেণির অন্য বন্ধুদের সাথে। আনন্দ, হাসি, গান, ছড়া, কবিতা, ব্যায়াম, খেলাধুলা, ছবি আঁকা, অন্যের সাথে কথা বলা, অন্যের কথা শোনা এবং যোগাযোগ করা ইত্যাদির মধ্যদিয়ে শুরু হবে শিশুর শিক্ষা জীবন। এভাবে নিরাপদ, আনন্দঘন আর আকর্ষনীয় পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে ধীরে ধীরে শুরু করতে হবে শিশুর অ, আ, ক, খ এবং গণনা শেখা। শিশুকে শারীরিক কিংবা মানসিক কোনো প্রকার শান্তি দেয়ার কথা শিক্ষককে সম্পূর্ণরূপে ভুলে যেতে হবে।
শান্তি দিয়ে বা জোর করে শিশুকে কখনোই কিছু শেখানো সম্ভব হয় না। শিশুর মনে যদি আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করা যায়, বিদ্যালয় পরিবেশে সে যদি নিজেকে নিরাপদ মনে করে তবে তার বিকশিত হওয়ার পথে আর কোনো বাধা থাকবে না। এবার আসা যাক পরীক্ষার বিষয়ে। পরীক্ষা নামক বিষয়টি lower primary থেকে তুলে দেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষক-অভিভাবক সকলের উচিত কেবলমাত্র পরীক্ষায় পাশ করানো কিংবা ১ম, ২য়, ৩য় হওয়ার দৌড়ে সামিল না হয়ে শিশুর সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করা।
আমরা সকল শিশুকে বাংলা ও ইংরেজি পঠন-লিখনে দক্ষ করে তুলবো, গণিতের প্রাথমিক চার নিয়ম পশখাবো এবং পাশাপাশি তাকে আচার-আচরণ, নীতি-নৈতিকতা, মানবতাবোধ, সৌহার্দ্য, সহানুভূতি, নান্দনিকতা, সৃজনশীলতা অর্জনে সহায়তা করবো। এর মাধ্যমে শিশুর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে কোনো প্রতিবন্ধকতা আর থাকবে না। আমাদের সঠিক পরিচর্যা পেলে প্রতিটি শিশুই হবে জাতির জনকের সোনার বাংলাদেশের সোনার মানুষ। দারিদধমুক্ত হয়ে উন্নত জাতি নিয়ে সমৃদ্ধ হবে বাংলাদেশ। সবশেষে আমাদের প্রত্যাশা সঠিক পথে এগিয়ে যাক প্রাথমিক শিক্ষা। জয় হোক প্রাথমিক শিক্ষার। সফল হোক প্রাথমিক শিক্ষার সকল কর্মসূচী।
- স্বামী মারা যাওয়ার কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে স্ত্রীর মৃত্যু
- ‘আগামী পাঁচ বছরে যুব উন্নয়নে ৫হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করা হবে’
- কোরআন ও হাদিসের আলোকে ইসলামী দাওয়াত এর গুরুত্ব!
- সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে জেসিআই ঢাকা এস্পায়ার
- বানিাচংয়ে বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু
- ডোমারে পলিব্যাগে মোড়ানো নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
- সরকারী কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণা, অবশেষে পুলিশের কাছে গ্রেফতার
- খানসামায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন
- ডেনমার্কে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশের নিন্দা
- স্মার্ট সিটি গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট নাগরিক- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
- দারিদ্র্যপীড়িত কুড়িগ্রামে এক টাকার রেস্তোরাঁ- মিলবে ভাত-ডাল, মাছ-মাংস, সবজি
- ঘোড়াঘাটে ৫০ বাড়িতে আগুন, অজ্ঞাত ১২০০জনের বিরুদ্ধে মামলা
- গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার বিদায়
- নির্বাচন কমিশনের যে ক’টি আসন ইভিএম সম্ভব, আমরা সেটা মেনে নেবো- তথ্যমন্ত্রী
- নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হুজি’র) ০৬ সদস্য গ্রেফতার
- রোববার আরসিসির ৭টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত রাজশাহী
- চলচ্চিত্রে সময় ও সমাজের সত্যকে তুলে ধরতে হবে- রবি উপাচার্য
- আইনপ্রণেতাকে বরখাস্ত করলেন জেলেনস্কি
- যাত্রী দুর্ভোগ ও সেবা না বাড়িয়ে ভাড়া বৃদ্ধি গ্রহনযোগ্য নয়- ক্যাব চট্টগ্রাম
- পাঠানের পর আসছে শাহরুখের ‘জাওয়ান’
- ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে যে খাবারগুলি খাবেন
- নিজ গ্রামে সংবর্ধিত সিংড়ার মেয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের
- মায়ের আর্তনাদে প্রবাসীদের সহায়তায় মালদ্বীপ থেকে দেশে পাঠানো হলো শরিফের মরদেহ
- পাকিস্তানে এক ডলারের দাম ২৬৮ রুপি
- ভারতে হাসপাতালে আগুন, দুই চিকিৎসকসহ ৫ জনের মৃত্যু
- কাভার্ড ভ্যানের চাপায় মটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত
- পাকিস্তানে সোনার দামে রেকর্ড, তোলায় ২ লাখ রুপির বেশি
- তিন কোটি পাঠ্য বই এখনো ছাপা বাকি
- ফিলিপাইনে ১৩শ টাকা কেজি পেঁয়াজ
- আজ রাজধানীতে বিএনপির পদযাত্রা বাড্ডা থেকে মালিবাগ
- হাইতির প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা
- পূর্ব জেরুজালেমে বন্দুক হামলায় নিহত ৭
- দম ফুরিয়ে- হাঁটার পথ ধরেছে বিএনপি : রাজশাহীতে তথ্যমন্ত্রী
- চ্যানেল আই খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি আজহার হীরার শ্বাশুরী ইন্তেকাল করেছেন
- পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সেনার গুলিতে ৯ ফিলিস্তিনি নিহত
- জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব ২৭-২৯ জানুয়ারি
- ‘রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীরা অনুপ্রবেশ করতে পারে’
- দম ফুরিয়ে- হাঁটার পথ ধরেছে বিএনপি : রাজশাহীতে তথ্যমন্ত্রী
- আপাতত বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে না পাঠান
- মির্জাপুরে এক বাড়িতে চুরি, প্রায় ২ লাখ টাকার মালামাল লুট
- রামগড়ে পারিবারিক কলহে শ্যালকের হাতে দুলাভাই খুন!
- ইসলাম বিরোধী শিক্ষা সিলেবাস বাতিল করতে হবে- ইসলামী ঐক্যজোট
- আশুগঞ্জ নৌবন্দরে নোঙর করেছে ভারতীয় রডবোঝাই জাহাজ
- রাজশাহীতে এবার নিপাহ ভাইরাসে শিশুর মৃত্যু
- চ্যানেল আই খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি আজহার হীরার শ্বাশুরী ইন্তেকাল করেছেন
- পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সেনার গুলিতে ৯ ফিলিস্তিনি নিহত
- রোহিঙ্গা কিশোর-কিশোরী পাচার চেষ্টা, নারীসহ গ্রেপ্তার ৩
- নবাবগঞ্জে ২বছর পার হলেও মেলেনি ভুয়া সনদে চাকরি নেয়ার অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন
- টঙ্গীতে পুনাকের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ
- লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু
- আক্কেলপুরে সরস্বতী পূজা উদযাপিত
- বড়াইগ্রামে মাদকাসেবীরা ধ্বংস করে দিলো ২ বিঘার আম বাগান
- বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আক্কেলপুরের কৃষকরা
- অভিবাসনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দ্বিতীয় স্থানে
- মালদ্বীপে সাংবাদিক ইউনিট সম্পাদকের জন্মদিন উদযাপন: শুভার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত
- জয়পুরহাটে জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ
- রাজশাহীতে বিএনসিসির রেজিমেন্ট ক্যাম্পিং উদ্বোধন
- শিশুর শিক্ষার জগৎ গড়ে উঠুক আত্মবিশ্বাস
- বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধূলা
- শিশুর জন্য নিরাপদ খেলনা
- শিশু শান্তি পুরস্কার অর্জন করলেন বাংলাদেশের সাদাত
- শিশুকে সৃজনশীল কাজে উদ্বুদ্ধ করুন
- শিশুদের জগৎ ভিন্ন এবং ভাব ভাবনাও পৃথক
- এশিয়া ফাউন্ডেশন এবং ইউনেস্কো`র উদ্যোগে ১০০টি সহজলভ্য শিশুতোষ বইয়ের উদ্বোধন