সকলের নাগালে শীতকালীন শাকসবজি
ড. মো. হুমায়ুন কবীর
প্রকাশিত: ২ জানুয়ারি ২০২১

ড. মো. হুমায়ুন কবীর, ছবি- সংগৃহীত।
বাংলাদেশের ঋতু পরিক্রমায় শীতকালটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসময়ে অন্য অনেককিছুর সাথে শীতকালীন শাকসবজি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। শীতকালে বাংলাদেশে অনেক বাহারি জাতের শাকসবজি উৎপাদিত হয়ে থাকে। বছরের অন্য সময়ে যে পরিমাণ শাকসবজি উৎপাদিত হয় তারমধ্যে শীতকালে অনেক বেশি, ভাল, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর শাকসবজি উৎপাদিত হয়ে থাকে এসময়ে। বেগুন, ফুলকপি, বাধাকপি, মূলা, ডাটা, ধনেপাতা, লালশাক, টমেটো, সীম, লাউশাক, শীতলাউ, পালংশাক, গোলআলু, পিয়াজ পাতা ও পিয়াজ ফুল, গাজর, শালগম, ব্রকলি, লেটুসপাতা ইত্যাদিই প্রধান।
সাধারণত শীতের শুরুর দিকে উৎপাদন কম হওয়ায় তখন এগুলো শাকসবজির মূল্য অনেক বেশি থাকে। সেসময় সবার পক্ষে এত দাম দিয়ে প্রয়োজনীয় পরিমাণ শাকসবজি সবাই কিনে খেতে পারেনা। কারণ বাংলাদেশের সকল মানুষের ক্রয় সামর্থ সমান নয়। তাই তখন ইচ্ছে থাকা সত্তে¦ও এসব পুষ্টিসমৃদ্ধ, সুস্বাদু, মজাদার শাকসবজি ক্রয় করে খেতে পারেনা। কিন্তু সময় বাড়ার সাথে সাথে উৎপাদনও বাড়তে থাকে। আর অর্থনীতির ভাষায় আমরা সহজেই একটি বিষয় বুঝতে পারি যে, চাহিদা যত বেশি দাম তত বেশি, অন্যদিকে যোগান যত বেশি দাম তত কম। আবার বেশি উৎপাদিত হয়ে যোগান বেশি হলে দাম কম হয়। অর্থাৎ বর্তমানে আমরা শীতকালের মধ্যপ্রান্তে রয়েছি। সেজন্য শীতকালীন শাকসবজির উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে এখন। তাই এখন বাজারে শীতকালীন শাকসবজির অনেক সরবরাহ। কাজেই সেসব শীতকালীন শাকসবজি এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর ক্রয়মূল্য সবার নাগালের মধ্যেই রয়েছে।
আমরা জানি, কোন একটি ফসল উৎপাদিত হওয়ার পর তা পরবর্তী মৌসুমে আবার নতুনভাবে উৎপাদিত না হওয়া পর্যন্ত সেগুলো দিয়ে বাকী সময়ের চাহিদা মেটাতে হয়। এর মধ্যে বিদেশে রপ্তানি, সময়মতো আমদানি করতে না পারা, সঠিকভাবে ও পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে না পারা। এমনকি অনেক সময় অতি মুনুফালোভী ব্যবসায়ীদেও কারসাজির কারণে মৌসুমের মধ্যখানে এসে ক্রাইসিস দেখা দিতে পারে। তখন আবার মূল্য বেড়ে যায়। গতবছর (২০২০) ওশষ দিকে এসে পিয়াজ, গোল আলুর মূল্যবৃদ্ধি তেমন একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। কিন্তু সরকার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে এবং বাঙালি উদ্যোগী কৃষক ভাইদেও মাথার ঘামে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে।
শাকসবজি বিষয়টি পুরো বিপরীত। কারণ শাকসবজি তাজা ও কাচা প্রকৃতির হওয়ায় তা পচনশীল হয়ে থাকে। যা দীর্ঘদিনের জন্য সংরক্ষণ করে গুদামজাত করা যায় না। আর সেজন্যই উৎপাদন মৌসুমে এসব শাকসবজির মূল্য খুবই উঠা-নামা করতে দেখা যায়। আমি আগেই বলেছি যে, মৌসুমের শুরুর দিকে মূল্য বেশি এবং শেষের দিকে মূল্য কম থাকে। আর সেজন্য শীতকালীন শাকসবজি নিয়ে অনেক সময় বিপর্যয়ে পড়তে দেখা যায় উৎপাদক কৃষককে। অনেক সময় পানির দরে বিক্রি করতে হয় সেসব শাকসবজি। গত দুবছর আগেও আলু, টমেটো ইত্যাদি বিক্রি করতে না পেরে রাস্তায় ফেলে দিতে দেখেছি। কিন্তু এবছর এখানো দাম এমন পর্যায়ে রয়েছে যেখানে উৎপাদক ও ভোক্তা কেউই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে না।
তবে বাজারমূল্য স্থিতিশীল ও সকলের জন্য সমানভাবে রাখতে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হয়। কারণ উৎপাদকদের কাজ উৎপাদন করা আর সরকারের সংশ্ল্ষ্টি কর্তৃপক্ষকে সময় মতো বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা নিতে হবে। এখন স্বাভাবিক বাজারজাতকরণের সাথে অনলাইন পদ্ধতিতে ডিজিটাল বাজারকরণ সময়ে দাবী। যেসব এলাকায় যে জাতের শাকসবজি উৎপাদিত হয় সেখানে সব শাকসবজির চাহিদা মিটিয়ে যেসব স্থানে উৎপাদিত হয় না। সেসব স্থানে এগুলো বাজারজাতকরণে ডিজিটাল ব্যবস্থা খুবই কার্যকরি। আর এবারের করোনা পরিস্থিতিতে তা খুব ভালভাবে কাজ করেছে। এর মাধ্যমে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পেয়েছে এবং ভোক্তাগণও সঠিক সময়ে সঠিকমূল্যে পণ্যের সরবরাহ পেয়েছে।
আরো পড়ুন: করোনার প্রভাবে ব্যাংককের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
এখন করোনাকাল চলছে। করোনাকালে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে শারীরিক রোগ প্রতিরোধের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা বিধান করা সম্ভব বলে স্বাস্থ্যবিধির অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উল্লিখিত শীতকালীন শাকসবজি খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শীতকালে মানুষের শরীরে পুষ্টির বিশেষ কিছু চাহিদা সৃষ্টি হয়। সেখানে বাংলাদেশে উৎপাদি শাকসবজি খুবই ভাল। যেসব শাকসবজি মোটেও সংরক্ষণ করে রেখে খাওয়া যায় না সেসব তাৎক্ষণিক সংগ্রহ করে খেতে হবে। ফুলকপি, বাধাকপি, বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ইত্যাদি রেখে খাওয়া যায় না। কিন্তু গোল আলু, টমেটো ইত্যাদি সারাবছরই খাওয়া যায়। তবে এখন বাজারে শীতকালীন শাকসবজি অনেক সরবরাহ ও সমারোহ। সেজন্য দাম কম বলে প্রয়োজন মতো সবাই কিনে খেতে পারছেন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় গড়ে কমপক্ষে ২৫০ গ্রাম শাকসবজি থাকার বিষয়টি এখন নিশ্চিত করা সম্ভব। কাজেই সবাইকেই এসময়ে বেশি পরিমাণে শীতকালীন শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া প্রয়োজন। এটি সম্ভব তার কারণ শীতকালীন সকল শাকসবজিই এখন দামে এবং উৎপাদনে সকলের নাগালোর মধ্যে।
লেখক: কৃষিবিদ ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
- পাঁচবিবিতে ছাত্রলীগের ৭৩ প্রতিষ্ঠা বাষির্কী পালিত
- দ্বিতীয় দফায় ভাসানচরে যাচ্ছে ৪২৭ পরিবার রোহিঙ্গা
- পদ্মায় ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধার কাজে বিলম্ব
- ভারত আমাদের অন্যতম বন্ধু প্রতিম প্রতিবেশী দেশ- হাই কমিশনার ইমরান
- টেকনাফে ২ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবাসহ মিয়ানমারের ৭ নাগরিক আটক
- নোয়াখালীতে তথ্য প্রযুক্তি আইনে গুজব রটানোর অভিযোগে গ্রেফতার ১
- মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ৪ লাশ উদ্ধার
- শিবগঞ্জে মাদক, বাল্যবিবাহ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে সমাবেশ
- চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে বিএনপি
- করোনার অ্যান্টিবডি পরীক্ষার অনুমতি দিল সরকার
- পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ২
- রামগড়ে শীতার্তদের পাশে দাঁড়ালো খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ
- করোনা ভাইরাসে দেশে আরো ২০জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪৭৩
- ভারতে করোনার টিকা নিয়েছেন ১৪ লাখ মানুষ
- প্রধানমন্ত্রীর জমিসহ ঘর পেলেন মির্জাপুরের ৪১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অসহায় মানুষের মাঝে মজিদ-নাহার ফাউণ্ডেশনের কম্বল বিতরণ
- ট্রাম্প নির্বাচনের ফল পাল্টে দিতে বলেছিলেন সুপ্রিমকোর্টকে
- করোনার মহামারিকালে এলপিজি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন
- ফেসবুকে আনন্দ খোঁজা নিছক মেকি বা প্রহসনের নামান্তর
- দশম ও দ্বাদশে নিয়মিত ক্লাস, বাকিদের সপ্তাহে ১ দিন
- পরীক্ষা ছাড়া এইচএসসির ফল প্রকাশে সংসদে আইন পাস
- জীবন গঠনে পারিবারিক সুশিক্ষা
- ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরামের মহালছড়ি উপজেলা ও কলেজ শাখা কাউন্সিল
- বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু ২১ লাখ ৩০ হাজার ছাড়াল
- আজ ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস
- রাশিয়ায় পুতিন বিরোধী নজিরবিহীন বিক্ষোভ, গ্রেফতার ৩হাজার
- কমলাপুরে পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুন
- নৌকা মার্কায় ভোট দিলে পাল্টে যায় উন্নয়নের চিত্র: এমপি এনামুল হক
- আশুগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় চেয়ারম্যানের ভাই নিহত, আটক-৭
- টিকা উপহার পাঠানোয় মোদিকে অভিনন্দন জিএম কাদেরের
- আমিরাতের সব ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে ডেনমার্ক
- করোনা ভাইরাসে দেশে আরো ২২জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪৩৬
- কারাবন্দি অবস্থায় নারীসঙ্গ জঘন্যতম অপরাধ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহস্রাধিক পরিবার
- গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদানের শুভ উদ্বোধন
- রামগড়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্বপ্নের ঘরের উদ্বোধন, জমির দলিল ও ঘর হস্তান্তর
- ইরাকে মার্কিন সেনা বহরে বোমা হামলা
- বুধবার থেকে দেশে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া শুরু
- ১৪৮ রানে গুটিয়ে গেল উইন্ডিজ
- মির্জাপুরে পর্ণোগ্রাফি মামলায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা হিমেল আটক
- শিশু জিহাদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
- করোনা ভাইরাসে দেশে আরো ১৬জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫৮৪
- ঢাকার হাসপাতালে শুরু হচ্ছে বঙ্গভ্যাক্স টিকার ট্রায়াল
- লক্ষ্মীপুরে ইটভাটা শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার!
- প্রতিদিন করোনার টিকা দেয়া হবে ২ লাখ ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- নৌকা মার্কায় ভোট দিলে পাল্টে যায় উন্নয়নের চিত্র: এমপি এনামুল হক
- আ’লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হলেন সুমগ্ন করিম
- খাগড়াছড়িতে ৪৩তম ককবরক দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা
- প্রধানমন্ত্রীর জমিসহ ঘর পেলেন মির্জাপুরের ৪১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার
- সুবর্ণজয়ন্তীতেই মৈত্রী সেতু উদ্বোধনের সম্ভাবনা, অপেক্ষায় দুই বাংলার মানুষ
- করোনার অ্যান্টিবডি পরীক্ষার অনুমতি দিল সরকার
- নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
- মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলেন বাইডেন
- খাগড়াছড়িতে ককবরক দিবসে ভাষা সাহিত্য প্রতিযোগীতার পুরষ্কার বিতরণী
- মির্জাপুরে ডাকাতের কবলে পড়ে ট্রাক চালকের মৃত্যুর ঘটনায় আটক ৩
- ককবরক ভাষা সৈনিক ধনঞ্জয় ত্রিপুরার প্রতি খাগড়াছড়িতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
- রামগড়ে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছেন অসহায় ভূমিহীনরা
- রামগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুল ছাত্র নিহত
- ‘বিজয় দিবস’ আনন্দ ও আত্ম জিজ্ঞাসার প্রশ্নে
- উহান থেকে ঢাকা : প্রসঙ্গ কোভিড-১৯
- সমাজের এক নিবেদিত প্রাণ শাপলা ত্রিপুরা
- শ্রমিকদের বঞ্চনার শেষ কোথায়?
- করোনাকালে হাওর পর্যটনে নতুন সম্ভাবনা জাগিয়েছে
- শীতকালীন প্রকৃতি ও মানব জীবনের পরিবেশ দর্শন
- সদা সত্য প্রকাশে দৈনিক প্রতিদিনের চিত্র হোক অদ্বিতীয়
- ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী ও সমকালীন ভাবনা
- ভক্তিবাদে নয়, প্রতিবাদে তাৎপর্যপূর্ণ হবে শ্রমিক দিবস
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা
- পথশিশুর ঠিকানা কি পথেই থেকে যাবে?
- বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ে ভূমি ধ্বসের প্রবণতা
- বাঙালির জাতীয় জীবনে গৌরবময় ও ঐতিহ্যপূর্ণ দিন ২১ ফেব্রুয়ারি
- ঢাকাই জামদানির জানা-অজানা
- আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী: বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা