খাগড়াছড়িতে সচেতন নাগরিক কমিটির সাথে শিক্ষা কর্তৃপক্ষের মতবিনিময়

 

খাগড়াছড়ি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা বলেছেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শ্রেণি কক্ষে কার্যকর কার্যক্রম ও সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নোয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

 

গত বুধবার (২৫মে) সকালে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কক্ষে শিক্ষা সেবার মানোন্নোয়নের লক্ষ্যে জেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষের সাথে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), খাগড়াছড়ি’র মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমে পাঠ্যপুস্তকের উপর জোর দিতে হবে, শিক্ষার্থীদের এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

এসময় জেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যদের সভাপতিবৃন্দ, অভিভাবক প্রতিনিধিবৃন্দ, সনাক ও ইয়েস সদস্যগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

 

আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সনাক সভাপতি প্রফেসর বোধিসত্ত্ব দেওয়ানের সভাপতিত্বে খাগড়াছড়ি মিউনিসিপ্যাল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার চাকমা বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নোয়নে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে একটি কার্যকর সমন্বয় থাকা জরুরি।

 

খাগড়াছড়ি কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেপোলিয়ন চাকমা বলেন, মা সমাবেশ, অভিভাবক সমাবেশ ইত্যাদি কর্মসূচিতে অভিভাবকদের যোগদানের বিষয়ে তেমন আগ্রহ দেখা যায় না।

 

ভূয়াছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ খীসা বলেন, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে অভিভাবকদের সক্রিয় ভূমিকা মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নোয়নের জন্য খুবই জরুরি।

 

অভিভাবক প্রতিনিধি মোঃ আবদুল আজিজ বলেন, মেধার ভিত্তিতে চাকুরি পেলে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের চুড়ান্ত পর্যায়ে যেতো কিন্তু দুর্নীতি আমাদের ও আমাদের সন্তানদের উৎসাহ ধ্বংস করে দিচ্ছে।

 

সনাকের শিক্ষা বিষয়ক উপ-কমিটির আহবায়ক মধু মঙ্গল চাকমা বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নোয়নে শিক্ষকের পাশাপাশি অভিভাবকদের আরো বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে।

 

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর বোধি সত্ত্ব দেওয়ান বলেন, সনাক প্রাথমিকভাবে খাগড়াছড়ি কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নোয়নে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। তিনি মাধ্যমিক শিক্ষার কাঙ্খিত মানোন্নোয়নে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে উত্তরণের উপায় নির্ধারণ করতে হবে। মাধ্যমিক শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব। তিনি বিদ্যালয়ে শিক্ষার উপযোগি পরিবেশ সুনিশ্চিতে অভিভাবকদের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।