Berger Paint

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৩ মার্চ ২০২৩,   চৈত্র ৮ ১৪২৯

ব্রেকিং:
চট্টগ্রাম, গাজীপুর, কক্সবাজার, নারায়ানগঞ্জ, পাবনা, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ ব্যুরো / জেলা প্রতিনিধি`র জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন পাঠানোর আহ্বান করা হচ্ছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা- স্নাতক, অভিজ্ঞদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য। দৈনিক প্রতিদিনের চিত্র পত্রিকার `প্রিন্ট এবং অনলাইন পোর্টাল`-এ প্রতিনিধি নিয়োগ পেতে অথবা `যেকোন বিষয়ে` আর্থিক লেনদেন না করার জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের এবং প্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হল।
সর্বশেষ:
শি-পুতিনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক আজ মুগদায় গ্যাস নেওয়ার সময় ট্রাকের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে যুবকের মৃত্যু ঢাকাসহ ১৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস ট্রাম্পকে গ্রেফতার করা হতে পারে আজ আরাভকে খুঁজছে দুবাই পুলিশ

আক্কেলপুরে হিট শকে পুড়ল কৃষকের কপাল

সকেল হোসেন, আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২১  

ছবি- প্রতিদিনের চিত্র।

ছবি- প্রতিদিনের চিত্র।

         
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে কালবৈশাখীর সাথে বয়ে যাওয়া গরম বাতাসে পুড়ে গেছে কৃষকের রোপনকৃত বোরো ধান। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখে পড়েছে উপজেলার কৃষকরা।  উত্তপ্ত বাতাসে পরাগায়ন ব্যহত হওয়ায় উপজেলার অধিকাংশ জমির ধান চিটা হয়েছে।

 

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গরম বাতাসের কারণে উপজেলার কানুপুর, বেগুনবাড়ি, পশ্চিম আমুট্ট, শান্তা, রোয়ারমাঠ, আওয়ালগাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকার উপর দিয়ে কালবৈশাখীর সাথে বয়ে যাওয়া গরম বাতাসে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এসব মাঠের বোরো ধান।  নিজেরা কি খাবেন, ঋণ পরিশোধ করবেন কি দিয়ে, সেই চিন্তায় দিশেহারা চাষিরা।

 

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের জানায়, উপজেলায় এবার ১০ হাজার ৩ শত হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। উপজেলার রুকিন্দপুর ইউনিয়নের কানুপুর বেগুনবাড়ী এবং পৌর সদরের পশ্চিম আমুট্ট মাঠের কৃষকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ব্রিধান-২৮, জিরাশাইল, কাটারিভোগ জাতের ধান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

 

উপজেলার বেগুনবাড়ী মাঠের ধান চাষি আফজাল হোসেন হোসেন, ‘গত সপ্তাহে ঝড়ের পর গরম বাতাসে ধানের এমন ক্ষতি হয়। আমি প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। প্রায় সব ধানই পুড়ে চিটা হয়েছে’।

 

কৃষক হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘বয়ে যাওয়া গরম বাতাসের কারণে আমার প্রায় সাড়ে তিন বিঘা জমির সবগুলো ধান চিটা হয়েছে। ঋণ করে ধান রোপন করেছি, ধান না হলে পথে বসার উপক্রম হবে আমার। পরিবার পরিজন নিয়ে খুব চিন্তায় রয়েছি’।

 

উপজেলা কৃষি অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ সকল মাঠ পরিদর্শন করেছি। কৃষকদের জন্য এই বিপর্যয় মারাত্মক ক্ষতি। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের হিট শকে আক্রান্ত ধান ক্ষেতে পর্যাপ্ত পানি রাখার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। এতে করে হিট শকের ক্ষতি থেকে কিছুটা কাটিয়ে উঠা যাবে’।

এই বিভাগের আরো খবর