Berger Paint

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৩ মার্চ ২০২৩,   চৈত্র ৮ ১৪২৯

ব্রেকিং:
চট্টগ্রাম, গাজীপুর, কক্সবাজার, নারায়ানগঞ্জ, পাবনা, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ ব্যুরো / জেলা প্রতিনিধি`র জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন পাঠানোর আহ্বান করা হচ্ছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা- স্নাতক, অভিজ্ঞদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য। দৈনিক প্রতিদিনের চিত্র পত্রিকার `প্রিন্ট এবং অনলাইন পোর্টাল`-এ প্রতিনিধি নিয়োগ পেতে অথবা `যেকোন বিষয়ে` আর্থিক লেনদেন না করার জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের এবং প্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হল।
সর্বশেষ:
শি-পুতিনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক আজ মুগদায় গ্যাস নেওয়ার সময় ট্রাকের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে যুবকের মৃত্যু ঢাকাসহ ১৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস ট্রাম্পকে গ্রেফতার করা হতে পারে আজ আরাভকে খুঁজছে দুবাই পুলিশ

জয়পুরহাটে বায়োডার্মা প্রয়োগে শত বিঘা আলুর ক্ষতি

জয়পুরহাট সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

ছবি-প্রতিদিনের চিত্র

ছবি-প্রতিদিনের চিত্র

জয়পুরহাটে ৩৩ কৃষকের আলুর ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ স্থানীয় একটি কীটনাশক ডিলারের কাছ থেকে আলুর ফলন ভালো হওয়ার ঔষধ কিনেছেন তারা। ওই ঔষধ আলুর গাছে স্প্রে করার পর পাতা পচন ও গাছ শুকিয়ে যায়। ব্যাপক ক্ষতি হয় প্রায় শত বিঘা আলুর জমির। কোম্পানী ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনও ক্ষতিপূরণের কোন টাকা পায়নি কৃষকরা । এতে দরিদ্র কৃষকরা পড়েছেন চরম হতাশায়।

সরেজমিনে জানা যায়, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মাটিরঘর, কৃষ্ণনগর গ্রামের কৃষকদের ইস্পাহানি কীটনাশক কোম্পানী তাদের প্রতিনিধি ও ডিলারের মাধ্যমে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে কৃষকদের সেমিনারের মাধ্যমে বায়োডার্মা নামে একটি ঔষধ প্রয়োগ করার পরামর্শ দেন। সেই সেমিনারে তারা বলেন, বায়োডার্মা ঔষধটি আলুর ক্ষেতে স্প্রে করলে আর অন্য কোন ঔষধ দিতে হবে না। এসব কথা শুনে কৃষকরা সরল বিশ্বাসে ক্ষেতলালের মাটিরঘর এলাকার স্থানীয় কীটনাশক ডিলার এমডি এন্টার প্রাইজ থেকে ঐ বায়োডার্মা ঔষধ কিনে তাদের আলু ক্ষেতে স্প্রের মাধ্যমে দেন। তার ২/৩ দিন পর থেকেই আলুর গাছের পাতা পচন ও গাছ শুকিয়ে মরতে শুরু করে। আস্তে আস্তে কয়েকদিনে আলু ক্ষেতের অধিকাংশই গাছ শুকিয়ে মরে যায়। এ ঘটনায় ডিলারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গত ৩০ জানুয়ারি জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত হোসেন এবং কোম্পানীর প্রতিনিধি ও ডিলারকে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন কিন্তু এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ চাষীরা কেউ ক্ষতিপূরণ পাননি।

কৃষক শরিফুজ্জামান স্বপন বলেন, আমাদের জমির আলুর পাতা ও গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ক্ষতিপূরণ এখনও পাইনি। আমরা সাধারণ কৃষক, অতো বুঝি না, তারা আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে, আমরা ক্ষতিপূরণ চাই। কৃষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সকল কৃষকেরা মিলে যা সিদ্ধান্ত নেবে তাতেই আমি মত দিব। আনিছুর ফকির বলেন, আমাদের ক্ষতি ১৫/২০ হাজার টাকার বদলে ৪/৫ হাজার টাকা দিতে চেয়েছে। কিন্তু টাকা দিব দিচ্ছি করে সময় কাটাচ্ছে। তারা টাকা না দিলে আমরা অন্য পদক্ষেপ নেব।

কীটনাশক ডিলার মেসার্স এম.ডি এন্টার প্রাইজের স্বত্তাধিকারী রাশেদুজামান মন্ডল দুলালের প্রতিষ্ঠানে তিনি উপস্থিত না থাকায় তার দোকানের ম্যানেজার জিয়াউর রহমান সাংবাদিকের পরিচয় পেয়ে দ্রæত সটকে পরেন। পরে মুঠোফোনে ডিলার মালিক রাশেদুজ্জামান দুলাল বলেন, এব্যাপারে কথা বলতে চাই না। এগুলো মিটমাট হয়ে গেছে। আপনারা আর ঘাটাঘাটি করেন না। এদিকে ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেড কোম্পানীর টেরিটরি অফিসার অপূর্ব বিশ্বাস বলেন, আমি এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না। বিষয়টি টপ ম্যানেজমেন্ট দেখছে, তারা ব্যবস্থা নেবে।

ক্ষেতলাল উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল বলেন, কৃষকদের ৩০ থেকে ৩৫ একর জমিতে ইস্পাহানি কোম্পানীর বায়োডার্মা ঔষধ স্প্রে করার পর আলুর গাছগুলো পচনশীল হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে ঐ এলাকার কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ। ক্ষেতলাল উপজেলার নির্বাহী অফিসার আরাফাত রহমান বলেন, ডিলারকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কোম্পানীর প্রতিনিধি ও ডিলারকে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরও যদি কৃষকরা ক্ষতিপূরণ না পায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে।

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স.ম মেফতাহুল বারি বলেন, ইস্পাহানি কোম্পানীর বায়োডার্মা ঔষধ প্রয়োগ করলে আর কোন ঔষধ দিতে হবে না এ বিষয়টি ঠিক নয়। কৃষকদের অন্য ঔষধও দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তাদের ঔষধ প্রয়োগ করে কৃষকরা প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইস্পাহানি কোম্পানীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। বিষয়টি আমরা কোম্পানীকে জানিয়েছি।

 

এই বিভাগের আরো খবর