Berger Paint

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৩ মার্চ ২০২৩,   চৈত্র ৮ ১৪২৯

ব্রেকিং:
চট্টগ্রাম, গাজীপুর, কক্সবাজার, নারায়ানগঞ্জ, পাবনা, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ ব্যুরো / জেলা প্রতিনিধি`র জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন পাঠানোর আহ্বান করা হচ্ছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা- স্নাতক, অভিজ্ঞদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য। দৈনিক প্রতিদিনের চিত্র পত্রিকার `প্রিন্ট এবং অনলাইন পোর্টাল`-এ প্রতিনিধি নিয়োগ পেতে অথবা `যেকোন বিষয়ে` আর্থিক লেনদেন না করার জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের এবং প্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হল।
সর্বশেষ:
শি-পুতিনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক আজ মুগদায় গ্যাস নেওয়ার সময় ট্রাকের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে যুবকের মৃত্যু ঢাকাসহ ১৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস ট্রাম্পকে গ্রেফতার করা হতে পারে আজ আরাভকে খুঁজছে দুবাই পুলিশ

সেলসম্যান মনির হইলেন প্রায় ১১শ কোটির গোল্ডেন মনির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২০  

মনির হোসেন ওরফে `গোল্ডেন মনির`

মনির হোসেন ওরফে `গোল্ডেন মনির`


কেরানীগঞ্জের ছেলে মনিরের পুরো নাম মনির হোসেন। কিন্তু নাম সংস্করণ হয়ে- হয়েছেন 'গোল্ডেন মনির'। কাপড়ের দোকানের সামান্য একজন সেলসম্যান থেকে তিনি এখন প্রায় ১১শ কোটি টাকার মালিক।

 

রাজধানীর সু-পরিচিত গাউসিয়া মার্কেটে বিগত ৩০ বছর আগে একটি কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী ছিলেন এই মনির। তার গ্রামের বাড়ী কেরানীগঞ্জে। মনিরের বাবা গামছা বিক্রি করে সংসার চালাতেন। তার বাবার উপার্জন সংসার চালাতে হিমশিম হত। তাই বাড্ডায় নানাবাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন মনির। পড়াশোনায় যদিও ক্লাস টেনের গণ্ডি পেরুনো সম্ভব হয়নি।

 

কিছুদিন গাউসিয়া মার্কেটে কাজ করার পর নতুন কাজ নেন মৌচাক মার্কেটে হাড়ি পাতিলের দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে। এখানেই পরিচয় হয় এক লাগেজ ব্যবসায়ীর সঙ্গে। আর তাতেই কেল্লাফতে। মনিরের টার্নিং পয়েন্ট শুরু এবং যুক্ত হলেন লাগেজ ব্যবসায়।

 

প্রথম শুরু হয় ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ভারত এই রুটে- কাপড়, মোবাইল ও ঘড়ি ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে এনে। এক সময় চলতে থাকে পানির মত চলতে থাকে এই চোরা ব্যবসা। তিনি এই কাজে দক্ষতা অর্জন করে পরে নেমে পড়েন সোনা চোরাচালানির কাজে। শুরু করেন বায়তুল মোকাররমে একটি জুয়েলারির দোকান কিনে দোকানদারীর মধ্য দিয়ে। চোরাই সোনা পাচারে এই দোকানটি তাকে চরমভাবে সহযোগীতা করে। এরপর থেকে 'মনির হোসেন' পরিচিতি লাভ করে 'গোল্ডেন মনির' হিসেবে।

 

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ্ প্রতিদিনের চিত্র কে বলেন, গোল্ডেন মনির' একজন দক্ষ সোনা চোরাকারবারি, হুন্ডি ব্যবসায়ী ও জমির দালাল। সে একটি গাড়ির শো রুমের সত্ত্বাধিকারেও। রাজউকের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে তিনি বিপুল অর্থ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।

 

আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবসে প্রধানমন্ত্রী- 'সেনাবাহিনী আরও দক্ষ হয়ে দেশ গড়বে'

 

এখানেই থেমে যায়নি মনিরের অবৈধ কাজের সীমা। শুরু হয় ভূমিদস্যুতা, জমির দালালি, হুন্ডি ব্যবসা এমনকি রাজউকের নথিপত্র জাল করার কাজও। আর এভাবেই এই শহরে গোল্ডেন মনিরের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় হাজার কোটি টাকারও বেশি। অসংখ্য ফ্ল্যাট প্লট ও জমির মালিকও বনে যায় দুই সন্তানের এই জনক।

এই বিভাগের আরো খবর