Berger Paint

ঢাকা, সোমবার   ২০ মার্চ ২০২৩,   চৈত্র ৬ ১৪২৯

ব্রেকিং:
চট্টগ্রাম, গাজীপুর, কক্সবাজার, নারায়ানগঞ্জ, পাবনা, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ ব্যুরো / জেলা প্রতিনিধি`র জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন পাঠানোর আহ্বান করা হচ্ছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা- স্নাতক, অভিজ্ঞদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য। দৈনিক প্রতিদিনের চিত্র পত্রিকার `প্রিন্ট এবং অনলাইন পোর্টাল`-এ প্রতিনিধি নিয়োগ পেতে অথবা `যেকোন বিষয়ে` আর্থিক লেনদেন না করার জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের এবং প্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হল।
সর্বশেষ:
মাদারীপুরে ১৯ যাত্রী নিহতের ঘটনায় বাস মালিকের বিরুদ্ধে মামলা পশ্চিমবঙ্গে অ্যাডিনোভাইরাসের থাবা, ১৯ শিশুর মৃত্যু আর্জেন্টিনাকে ১৩ গোল দিয়ে কোপার শিরোপা জিতল ব্রাজিল দেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ শেরপুরে ব্রীজের অভাবে দূর্ভোগে ১০ গ্রামের অর্ধলাখ মানুষ বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য পদক পাচ্ছে র‍্যাবের কুকুর ‘চিতা’ আজিমপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

ফিলিপাইনে ১৩শ টাকা কেজি পেঁয়াজ

সংবাদ বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩  

ছবি- সংগৃহীত।

ছবি- সংগৃহীত।

 

বিশ্বের অনেক দেশেই নিত্যপণ্যের দাম এখন আকাশছোঁয়া। জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনও যেন এর বাইরে নয়। দেশটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। পেঁয়াজের মতো একটি নিত্যপণ্যকে এখন দেশটিতে বিলাসপণ্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ এ মুহূর্তে দেশটিতে এক কেজি পেঁয়াজের দাম প্রায় ৭০০ পেসো বা প্রায় ১৩ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কেজি পেঁয়াজের দাম ১৩০০ টাকারও বেশি। খবর বিবিসির।

 

পেঁয়াজ সংকটে পড়া ফিলিপাইনে এখন রেস্তোরাঁয় রেস্তোরাঁয় নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেখানে লেখা ‘খাবারের ওপর বেরেস্তা দেওয়া হয় না’। সরকারি হিসাব বলছে, গত এক মাসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়ে হয়েছে প্রায় ৭০০ পেসো, যা প্রায় ১৩ ডলারের সমান। তার মানে হলো, ফিলিপাইনে এখন এক কেজি পেঁয়াজের দাম মাংসের দামের চেয়েও বেশি। পেঁয়াজের দাম দেশটির দৈনিক ন্যূনতম মজুরিকেও টপকে গেছে। গত কিছুদিনে দাম সামান্য কমলেও ফিলিপাইনের অনেক নাগরিকের জন্য এখন পেঁয়াজ কেনা যেন বিলাসিতা। দেশটির মধ্যাঞ্চলের সেবু শহরের একটি পিজার দোকান চালান রিজালদা মাউনেস। বিবিসিকে তিনি জানান, আগে তার দোকানে দিনে তিন থেকে চার কেজি পেঁয়াজ লাগত। এখন তারা আধা কেজির বেশি কেনেন না, আসলে এর বেশি কেনার সামর্থ্য তাদের নেই।

 

তিনি বলেন, ‘আমাদের খদ্দেররাও বিষয়টা বোঝেন, কারণ এটা তো কেবল রেস্তোরাঁর বিষয় না। পেঁয়াজের এই সংকট নিয়ে সব বাসাতেই ভুগতে হচ্ছে।’ ভারতবর্ষের মতো ফিলিপাইনের রন্ধনশিল্পেও পেঁয়াজ একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। সেই পেঁয়াজ এখন দেশটির জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির প্রতীক হয়ে উঠেছে। গত মাসে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি পৌঁছেছে ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিজের হাতেই রেখেছেন। খাবারের দাম বৃদ্ধির এ পরিস্থিতিকে তিনি বর্ণনা করেছেন একটি ‘জরুরি অবস্থা’ হিসেবে। বাজারে সরবরাহ বাড়াতে এ মাসের শুরুর দিকেই তিনি লাল ও হলুদ পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেন।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফিলিপাইনের অর্থনীতি মন্দার ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় বাজারে চাহিদা বেড়েছে, তাতে এমনিতেই দাম বেড়েছে। এর মধ্যে আবার বিরূপ আবহাওয়ায় পেঁয়াজ এবং অন্যান্য খাদ্যপণ্যের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তাতে দাম আরও বেড়েছে। আইএনজি ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ নিকোলাস মাপা বলেন, কৃষি বিভাগ গত আগস্ট মাসেই খাদ্য সংকটের পূর্বাভাস দিয়েছিল। এরপর দুটো শক্তিশালী ঝড় পর পর আঘাত হেনেছে ফিলিপাইনে, যা ফসলের যথেষ্ট ক্ষতি করে গেছে।

 

সেবুর স্ট্রিট ফুডের এক দোকান মালিক অ্যালেক্স চুয়া তার স্টলে বসে পেঁয়াজ কাটতে কাটতে বলেন, আমাদের খাবারের যে লোনা স্বাদ, তাতে খানিকটা ঝাঁজ আর মিষ্টিভাব যোগ করে পেঁয়াজ। সে কারণে পেঁয়াজ আমাদের খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি ফিলিপিনোদের এতটাই নাড়া দিয়েছে যে গত এপ্রিলে ইলোইলো সিটির তরুণী লাইকা তার বিয়ের আসরে উপস্থিত হয়েছিলেন ফুলের বদলে পেঁয়াজের তোড়া হাতে। স্থানীয় একটি পত্রিকাকে তিনি বলেন, বিয়ের পরে ফুলগুলো তো শুকিয়ে যাবে, শেষ পর্যন্ত ফেলে দেওয়া হবে। তাই আমি আমার বরকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ফুলের বদলে আমরা পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারি কিনা। রসিকতার সুরে বর এর উত্তরে বলেন, “যে দিন পড়েছে তাতে ফুলের চেয়ে পেঁয়াজই বাস্তবসম্মত। তা ছাড়া বিয়ের পরেও এটা আমাদের কাজে লাগবে।”

এই বিভাগের আরো খবর