Berger Paint

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৩ মার্চ ২০২৩,   চৈত্র ৮ ১৪২৯

ব্রেকিং:
চট্টগ্রাম, গাজীপুর, কক্সবাজার, নারায়ানগঞ্জ, পাবনা, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ ব্যুরো / জেলা প্রতিনিধি`র জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন পাঠানোর আহ্বান করা হচ্ছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা- স্নাতক, অভিজ্ঞদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য। দৈনিক প্রতিদিনের চিত্র পত্রিকার `প্রিন্ট এবং অনলাইন পোর্টাল`-এ প্রতিনিধি নিয়োগ পেতে অথবা `যেকোন বিষয়ে` আর্থিক লেনদেন না করার জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের এবং প্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হল।
সর্বশেষ:
শি-পুতিনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক আজ মুগদায় গ্যাস নেওয়ার সময় ট্রাকের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে যুবকের মৃত্যু ঢাকাসহ ১৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস ট্রাম্পকে গ্রেফতার করা হতে পারে আজ আরাভকে খুঁজছে দুবাই পুলিশ

বিদেশি পাইলটের মৃত্যু, মামলা নেয়নি গুলশান থানা

প্রতিদিনের চিত্র বিডি ডেস্ক

প্রকাশিত: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

ছবি- সংগৃহীত।

ছবি- সংগৃহীত।

 
ভুল চিকিৎসায় গালফ এয়ারের এক পাইলটের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলে রাজধানীর গুলশান থানা মামলা নিতে অস্বীকার করে। থানা থেকে অভিযোগকারীকে কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়।

 

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায়। গালফ এয়ারের পাইলট ক্যাপ্টেন মোহাম্মাদ ইউসুফ আল হিন্দির মৃত্যুর ঘটনায় বোন মার্কিন নাগরিক তালা এলহেনডি জোসেফানো তার আইনজীবীকে নিয়ে গুলশান থানায় যান। এ ঘটনায় তিনি এজাহার দায়ের করতে চাইলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলাটি গ্রহণ করেনি।

 

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী ও গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার নিউটন দাস ঘটনা গুরুতর উল্লেখ করে তাকে কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন। অবশ্য কোর্ট থেকে থানায় এফআইআর করতে বলা হলে তারা সহযোগিতা করবেন বলে জানান।

 

থানায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করে রাত সাড়ে ৯টায় বের হয়ে তালা এলহেনডি অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে রাজি ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তারা মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

 

এলহেনডি মনে করেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মামলা না নিতে পুলিশকে প্রভাবিত করেছে। পুলিশ তার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে হাসপাতালকে সাহায্য করছে।’

 

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মহুয়া মোর্শেদ জানান, তালা এলহেনডি আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা শিগগিরই আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গণমাধ্যমকে অবহিত করব।’

 

মামলার এজাহারে এলহেনডি বলেন, ‘করোনা মহামারির সময় রোগীদের দগ্ধ করার কারণে এ হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের দাবি উঠেছিল। এটি পরিষ্কার যে, তারা চিকিৎসাসেবার মতো মহান দায়িত্ব পালনের অযোগ্য।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘এই হাসপাতালটিতে আমার ভাইয়ের প্রাণহানির ঘটনাই শেষ নয়। চিকিৎসা অবহেলায় তাদের অতীত ইতিহাস আছে। কাজেই তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে প্রচলিত যথাযথ ফৌজদারি কার্যবিধি ও দণ্ডবিধি আইনে আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাচ্ছি।’

 

তিনি বলেন, ‘আমি গত ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসে নিয়মিত ইউনাইটেড হাসপাতালে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার দিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও চিকিৎসার যাবতীয় তথ্য চাই। কিন্তু তারা দিনের পর দিন কালক্ষেপণ করতে থাকে এবং পরে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমি নিজে তদন্ত করে এ মামলার প্রাথমিক তথ্য উদঘাটন করি।’

এই বিভাগের আরো খবর