Berger Paint

ঢাকা, শুক্রবার   ০২ জুন ২০২৩,   জ্যৈষ্ঠ ১৯ ১৪৩০

ব্রেকিং:
চট্টগ্রাম, গাজীপুর, কক্সবাজার, নারায়ানগঞ্জ, পাবনা, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ ব্যুরো / জেলা প্রতিনিধি`র জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন পাঠানোর আহ্বান করা হচ্ছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা- স্নাতক, অভিজ্ঞদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য। দৈনিক প্রতিদিনের চিত্র পত্রিকার `প্রিন্ট এবং অনলাইন পোর্টাল`-এ প্রতিনিধি নিয়োগ পেতে অথবা `যেকোন বিষয়ে` আর্থিক লেনদেন না করার জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের এবং প্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হল।
সর্বশেষ:
রাজধানীতে বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা কানাডা প্রবাসী নারীর মরদেহ উদ্ধার পে-স্কেল না হলেও সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এরদোয়ানের ফোন বিএনপি নেতা খায়রুল কবিরের বাড়িতে আগুন নাইজেরিয়ার কাছে হেরে বিদায় স্বাগতিক আর্জেন্টিনার বিদ্যুতের ঘাটতি ৩০০০ মেগাওয়াট, সারা দেশে লোডশেডিং

তারাবি নামাজ পড়াতে গিয়ে মোবাইল দেখে তেলোয়াত, হাফেজকে অব্যাহতি

গাজী আরিফুর রহমান, বরিশাল

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৩  

তারাবির নামাজ পড়ানোর সময়ে মোবাইলে দেখে দেখে তেলোয়াত করছিলেন হাফেজ। ঘটনা মুসুল্লিদের নজরে আসতেই তোপের মুখে পড়েন তিনি। এমন ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল নগরীর ব্যাপটিস্ট মিশন রোডের বায়তুল আনোয়ার জামে মসজিদে। এ ঘটনায় জাকির হোসেন নামের ওই হাফেজ কে অব্যহতি দিয়েছেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ।


বায়তুল আনোয়ার জামে মসজিদের মুসুল্লিরা জানান, ২য় রমজানের রাতে হাফেজ জাকির হোসেন মোবাইল ফোন দেখে দেখে তারাবি নামাজ পড়ান। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আর তারাবির নামাজ না পড়িয়ে মসজিদ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।

 

রফিকুল ইসলাম নামে একজন মুসল্লি বলেন, ‘ঘটনাটি তারাবি নামাজের সময় অনেকেরই চোখে পড়ে। পরে তৃতীয় রমজানের রাতে হাফেজ জাকির হোসেনের মোবাইল দেখে দেখে তারাবির নামাজ পড়ানোর দৃশ্য অনেকেই ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিওটি সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়। পরে ওই হাফেজকে তারাবি নামাজ পড়ানো থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।’


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাফেজ জাকির হোসেন ওই মসজিদের ইমাম ফারুকের নিজস্ব মাদরাসার একজন শিক্ষক। তাই তারাবির নামাজের জন্য হাফেজ নিয়োগের ক্ষেত্রে তাকে প্রাধান্য দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়।

 

এ বিষয়ে মসজিদের ইমাম ফারুক বলেন, ‘হাফেজের মোবাইল দেখে দেখে তারাবির নামাজ পড়ানোর বিষয়টি সত্যি। ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে তারাবির নামাজের জন্য হাফেজ নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো স্বজনপ্রীতি করা হয়নি। হাফেজ নিয়োগের সময় ইন্টারভিউ বোর্ডে ৮-১০ জন উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে মেধার মূল্যায়নে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।’


বায়তুল আনোয়ার জামে মসজিদের ক্যাশিয়ার মিল্টন চৌধুরী বলেন, ‘তারাবির নামাজের জন্য হাফেজ নিয়োগের সময় ইন্টারভিউ বোর্ডে মসজিদ কমিটির কেউ ছিলেন না। মসজিদের ইমাম ও এলাকার বড় একটি মসজিদের ইমাম মিলে ইন্টারভিউ নিয়ে হাফেজ ঠিক করা হয়েছিল। পরে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা জেনে ওই হাফেজকে বাদ দিয়ে অন্য একজন হাফেজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’

এই বিভাগের আরো খবর