Berger Paint

ঢাকা, রোববার   ০২ এপ্রিল ২০২৩,   চৈত্র ১৯ ১৪২৯

ব্রেকিং:
চট্টগ্রাম, গাজীপুর, কক্সবাজার, নারায়ানগঞ্জ, পাবনা, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ ব্যুরো / জেলা প্রতিনিধি`র জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন পাঠানোর আহ্বান করা হচ্ছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা- স্নাতক, অভিজ্ঞদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য। দৈনিক প্রতিদিনের চিত্র পত্রিকার `প্রিন্ট এবং অনলাইন পোর্টাল`-এ প্রতিনিধি নিয়োগ পেতে অথবা `যেকোন বিষয়ে` আর্থিক লেনদেন না করার জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের এবং প্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হল।
সর্বশেষ:
আসছে ৮০ কিমি বেগে ঝড়, ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত আশুলিয়ায় বাসচাপায় শ্রমিক নিহত, প্রতিবাদে দুই বাসে আগুন বাতিল হচ্ছে গুচ্ছ পরীক্ষা চালু হচ্ছে এনটিএ পদ্ধতি হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়েছেন প্রথম আলোর সম্পাদক বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ কোটি ৪০ লাখ ছুঁইছুঁই এবার ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা, সর্বোচ্চ ২৬৪০

পোশাকে বিজয় উল্লাস

স্বাস্থ্য সৌন্দর্য্য ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯  

মডেল -তিতান

মডেল -তিতান

বিজয়ের এই মাসে ফ্যাশন হাউজগুলো একটু ভিন্ন রূপের আয়োজন করে থাকে। আর এই ফ্যাশন হাউজগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরির পোশাক দিয়ে সজ্জিত করে। ক্রেতারাও ভিড় করছেন এই ফ্যাশন হাউজগুলোতে। বৈচিত্র্যপূর্ণ ডিজাইন আর লাল সবুজ রং দেখে তরুণ দেশপ্রেমিকরা কিছু না কিছু কিনছেনই। ফ্যাশন হাউজগুলো বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশীয় কাপড় দিয়ে তৈরি করেছে শাড়ি, থ্রি-পিস, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া ও শিশুদের পোশাক।

কাপড় হিসেবে সুতি কাপড় বেশ প্রাধান্য পেয়েছে। তবে পাশাপাশি খাদি, তাঁত, টাঙ্গাইলের তাঁত, মোটা কটন, এনডি_ এসব কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, পাঞ্জাবিসহ বিভিন্ন পোশাকে। শীতকালকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছে নানা ধরনের শাল। এসব শালেও সবুজ ও লাল রং প্রাধান্য পেয়েছে। পাশাপাশি থাকছে নানা মোটিফ। অর্থাৎ ফ্যাশন ডিজাইনাররা সব পোশাকের মাধ্যমে আমাদের অহংকার, আমাদের বিজয় দিবসের বিষয়গুলোকে প্রকাশের চেষ্টা করেছেন।

পোশাকে ব্যবহার করা হয়েছে নিজস্ব উইভিংয়ে করা ডিজাইন, টাই অ্যান্ড ডাই, স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক প্রিন্ট, অ্যাপলিক, এমব্রয়ডারিসহ বিভিন্ন মাধ্যম। কারোর পোশাকে উঠে এসেছে বাংলাদেশের মানচিত্র, কারোর নকশায় প্রাধান্য পেয়েছে জাতীয় পতাকা, কোনোটায় রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের নানা ছবি, লেখা, কবিতার লাইন ও জাতীয় ফুল। অর্থাৎ বিজয় উৎসবের বিভিন্ন প্রতীক ব্যবহার করে ডিজাইন করা হয়েছে বিজয় দিবসের পোশাকগুলোতে।

ফ্যাশন হাউজ রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার সৌমিক দাস বলেন, দিবসভিত্তিক এসব আয়োজন করতে খুবই ভালো লাগে। মনে হয়, দেশের সব শ্রেণির মানুষের কাছে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি দেশের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার বার্তা। এ ধরনের কাজ অনুপ্রাণিত করে। রং হিসেবে লাল-সবুজ প্রাধান্য পেয়েছে। আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সব বয়সী মানুষের দিকে লক্ষ রেখে পোশাক তৈরি করা হয়েছে, যেন সবাই বিজয় দিবসে নিজেদের রাঙিয়ে নিতে পারেন স্বদেশপ্রেমের চেতনায়।

কেবল বড়দের নয়, প্রতিটি উপলক্ষে ছোটদের পোশাককে সমান গুরুত্ব দিয়ে থাকে বলেই বাচ্চাদের সংগ্রহও হয় বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। রয়েছে পরিবারের সবার জন্য একই ধরনের ম্যাচিং পোশাক। সুতরাং এবার বাবা-মা, মা-মেয়ে, বাবা-ছেলে এমনকি পরিবারের সবাই একই থিমের পোশাক পরে উদযাপন করতে পারবে এবারের বিজয় উৎসব। মূল রং হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে সাদা, লাল, সবুজ ও টিয়া। আর পোশাক অলংকরণে সহযোগী রং হিসেবে আছে সবুজের নানা শেড, সাদা, টিয়া ও গোল্ডেন হলুদ। পোশাকের নকশাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নানা ভ্যালু অ্যাডেড মিডিয়ার ব্যবহারে। এর মধ্যে রয়েছে স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক প্রিন্ট, হাতের কাজ ইত্যাদি। মহান বিজয়ের মাসে অন্য সব ফ্যাশন হাউজের মতো কে-ক্র্যাফট ফ্যাশনে যুক্ত করেছে বিজয়ের পোশাক। পোশাকের সঙ্গে বিজয়ের স্মারক হিসেবে ফ্যাশন হাউজ কে-ক্র্যাফট উপহার সামগ্রীরও আয়োজন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে লেদারের ওয়ালেট, কার্ড হোল্ডার এবং সুতি কাপড়ের ব্যানডেনা। লেদারের প্রতিটি প্রোডাক্টের সঙ্গে থাকছে একটি করে পাউচ। এ ছাড়া কে-ক্র্যাফটের বিজয়ের পোশাক, সালোয়ার-কামিজ, টপ, ফতুয়া, পাঞ্জাবি এবং বাচ্চাদের পোশাক পাওয়া যাবে। বিজয় দিবস সামনে রেখে লাল-সবুজের মিশ্রণে চরকা তৈরি করেছে ফতুয়া, পাঞ্জাবি, শাল ও শাড়ি। চরকার বিশেষ আকর্ষণ কুর্তা। আরও আছে কামিজ, পাঞ্জাবি, শার্ট আর চাদর। নবরূপা সেজেছে লাল-সবুজের রঙে। শাড়ি, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, সালোয়ার-কামিজ, ওড়না ইত্যাদি।

বাংলার মেলা বিজয় দিবস উপলক্ষে এনেছে দেশীয় কাপড়ের তৈরি শাড়ি, ফতুয়া, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি ও থ্রি-পিস। পোশাকের নকশা করা হয়েছে বিজয় দিবস উপলক্ষে। বিজয়ের মাসজুড়ে লাল-সবুজকে নিয়েই শ্রদ্ধার যত আয়োজন। শ্রদ্ধার শাড়ি, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, কুর্তা, টি-শার্ট ইত্যাদিতে তুলে ধরা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের নানা স্লোগান এবং লাল-সবুজ রং। পোশাকে ব্যবহার করা হয়েছে মোটা সুতি ও খাদি কাপড়। করা হয়েছে টাইডাই, ব্লক, বাটিক, অ্যাপলিক, ক্যাটওয়াক ও স্ক্রিন প্রিন্ট। আছে বাংলাদেশ লেখাসংবলিত মগ। শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, টি-শার্ট, শার্ট এনেছে এড্রয়েট। বড়দের পোশাকের পাশাপাশি ছোটদের পোশাকেও একই ধরনের ডিজাইন করা হয়েছে। ডিজাইনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পতাকার রং। ব্যবহার করা হয়েছে একটু ভারী কাপড়। ফড়িং নতুন ডিজাইনের পোশাক এনেছে বিজয় দিবসে। শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, টি-শার্ট, শার্ট প্রভৃতি পোশাকে কাজ করা হয়েছে এমব্রয়ডারি, অ্যাপ্লিক, ব্লক, হাতের কাজ, হ্যান্ড পেইন্ট, টাইডাই প্রভৃতি। লাল-সবুজের পাশাপাশি পোশাকে ব্যবহার করা হয়েছে আকাশি, মেরুন ও ধূসর রং। বিজয় দিবসে ফ্যাশন হাউস নিপুণ সেজেছে লাল-সবুজের বিজয় রঙে। পাঞ্জাবি, শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে বাচ্চাদের পোশাকেও রয়েছে বিজয়ের রং।