‘বিজয় দিবস’ আনন্দ ও আত্ম জিজ্ঞাসার প্রশ্নে

সুবর্ণজয়ন্তীর খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে মুক্ত উচ্ছ্বসিত স্বাধীন বাংলাদেশ! প্রতিশ্রুতিশীল ও অজেয় বাংলাদেশ আমাদের মাথা উচুঁ করে নিজেকে জানান দেয়ার গর্বিত এক ঠিকানা। ১৯৭১ সালে ১০ই এপ্রিলের ৫১০ শব্দের ঘোষনা পত্রের বাংলাদেশ আজ এক অনন্য উচ্চতায়। এত কিছুর পরেও সত্যিই কেমন চলছে আশা আকাংখা, চেতনা, বিশ্বাস ও ত্যাগের হরফে লেখা প্রিয় স্বদেশ?
মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক চেতনায় সাম্য, সমাজ ও রাষ্টের নিজ নিজ জায়গা থেকে আত্ম জিজ্ঞাসা প্রয়োজন,  মুখোমুখি হওয়া দরকার আমাদের প্রত্যেককে।
কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রিয় স্বদেশ?
২ ধারায় বিভক্ত বাংলাদেশ। দেশ বিদেশী কুচক্রিদের কারনে সুবর্ণজয়ন্তীর কাছে দাঁড়িয়ে আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতি সুশাসন ও মানবিক চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ আজ প্রশ্নবিদ্ধ। আমাদের কাছাকাছি দেশ-ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের থেকে বেশ এগিয়ে। আমাদের অনুশোচণার জায়গা এখানে।

এই দেশ তো আলোচনার টেবিলে স্বাধীন হয়নি!

রক্তে লেখা বর্ণ আর ত্যাগ ও সম্ভ্রম হারানোর জায়গায় দাঁড়িয়ে আমাদের প্রশ্ন করতেই হবে।
দেশ কেন এক শ্রেণীর কাছে জিম্মি থাকবে, কেন অন্য দেশের ইচ্ছা অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করবে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি, হিন্দু-মুসলিমের বিবাধ বিসংবাদ কেন শিরোনাম হবে ?
ফুটপাতে কেন ঘুমাবে হাজার হাজার বনিআদম? অভাবে আত্মহত্যা আর সুশাসন ও ন্যায় বিচার, স্বাধীনতার মূল্যবোধ, সীমান্ত হত্যা যা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী একটি কাজ। যা চলতে দেয়া যায় না, চলতে পারে না।

আমরা নারীর ক্ষমতায়ন, খাদ্য স্বয়ংসম্পুর্ণ, তথ্য প্রযুক্তি ও মহাকাশে পা রাখা এবং উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিজেদের নাম লেখানো নিশ্চই আমাদের জন্য গর্ব ও সন্তুষ্টির হবে।

আজ আমাদের অবশ্যই শ্লোগান তুলতে হবে-
আমরা বাংলাদেশপন্থী, দুর্নীতি ও সমাজ বিধংসী কাজে এক ও অভিন্ননীতি হউক আমাদের অঙ্গীকার, স্বাধীন বিচার বিভাগ ও মানুষের মৌলিক অধিকার পুরনে সচেষ্ট হওয়া উচিৎ ১৮ কোটি মানুষের রাষ্ট্রযন্ত্রকে।

শিক্ষা, চিকিৎসা, ভাত, কাপড়, বাসস্থান ও  সুবিচার প্রতিষ্ঠার আড়ালেই লুকিয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা।
বিবাদ বিসংবাদ আর ধর্মবর্ণের বেড়াজাল ছিড়ে ঐক্যবদ্ধ নতুন বাংলাদেশই হউক সুবর্ণজয়ন্তীর অঙ্গীকার।

লেখক: আহমাদ ইসমাঈল
সম্পাদক, হলি পাবলিকেশন

অনুরোধ: প্রিয় পাঠক, লেখাটি সম্পূর্ণ লেখকের অভিমত।