উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় পাট চাষ কমছে ভেড়ামারায়
০৮ জুলাই ২০১৮, ০২:২৩ পিএম

পাট চাষে কয়েক বছর আগেও বেশ এগিয়ে ছিল ভেড়ামারা উপজেলা। তবে দামের তুলনায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এ বছর ভেড়ামারায় পাটের চাষ কমেছে। এ ছাড়া পাট পচনের স্থান স্বল্পতায় চাষিদের মধ্যে পাট চাষে আগ্রহ কমেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক চাষি।
ভেড়ামারা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ জানান, ভেড়ামারা উপজেলায় গত বছর পাটের আবাদ হয়েছিল ৩ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে। আর চলতি মৌসুমে আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আবাদ কমেছে ১ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে। জানা যায়, কয়েক বছর আগে দেশের অন্যান্য এলাকার মতো ভেড়ামারায় চাষিরা পাট চাষ একেবারেই কমিয়ে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে দাম বাড়ার পর পাট চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েন এই অঞ্চলের কৃষকরা। তবে দু-তিন বছর ধরে পাট চাষ করে উৎপাদন খরচ উঠছে না চাষিদের। ক্ষেত থেকে পাটকাটা, বহন করে এনে নদী, বিল, খাল ও পুকুরে জাগ দিতে অনেক টাকা ব্যয় হয়। যে কারণে চলতি মৌসুমে পাটের আবাদ কমিয়ে দিয়ে অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা। ভেড়ামারা উপজেলার ১৬ দাগ গ্রামের চাষি ইফসুফ আলী বলেন, এক বিঘা জমিতে পাট চাষে ১৬-১৭ হাজার টাকা ব্যয় হয়। বিঘাতে পাট হয় ১০-১২ মণ। প্রতিমণ পাট বিক্রি হয় এক হাজার থেকে ১ হাজার ৪শ টাকা পর্যন্ত। এ দামে পাট বিক্রি করে উৎপাদন খরচ উঠে না। গত বছর আমি ২৫ কাঠা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। এবার কমিয়ে ১৬ কাঠা চাষ করেছি। একই উপজেলা নলুয় গ্রামের চাষি আক্কাস আলী বলেন, গত বছর আমি সাড়ে ৯ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। এবার কমিয়ে ৭ বিঘা চাষ করেছি। বৃষ্টির কারণে ৫ বিঘা জমির পাট নষ্ট হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ভেড়ামারা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ বলেন, চাষিরা ধান চাষে ঝুঁকে পড়ায় পাট চাষ কমেছে। এরপরও কৃষকদের পাট চাষে আগ্রহ বাড়াতে নানাভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।