স্ত্রীকে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকি স্বামীর বিরুদ্ধে, প্রতিবাদে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

দহেন বিকাশ ত্রিপুরা

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৮ পিএম


স্ত্রীকে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকি স্বামীর বিরুদ্ধে, প্রতিবাদে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

ছবি- প্রতিদিনেরচিত্র বিডি।

 

খাগড়াছড়িতে স্বামীর অমানসিক নির্যাতন, প্রাণনাশের হুমকি, বাবার পৈতৃক সম্পত্তি স্বামীর নামে করে দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্ত্রী। গত বুধবার (২০সেপ্টেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

 

সংবাদ সম্মলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্যাতিতা স্ত্রী খেমারী মারমা। তিনি সংবাদ সম্মলনে উল্লেখ করে বলেন, উজ্জ্বল মারমা গত বছরের ১২ এপ্রিল "ট্রাডিশন রেস্টুরেন্ট" নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরে "আইনের আশ্রয় নিব" বললে পরবর্তীতে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক স্থানে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ঘটনার পরবর্তী ১ (মাস) পর গর্ভধারণ করলে জোরপূর্বক হাসপাতালে নিয়ে বাচ্চা নষ্ট করান। পরে দুজনের সম্মতিতে চলতি বছরে জানুয়ারিতে বিবাহ সংক্রান্ত হলফনামা সম্পাদন বিবাহ সম্পাদন করা হয়। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, উজ্জ্বল মারমা(স্বামী) চলতি বছরের গত ৩ জুলাই নেশা করে তার দল বল বাড়ি ভাংচুর ও স্ত্রীর গায়ে হাত তুলেন। এ সময় ব্যবসা বাণিজ্য এবং রেস্টুরেন্টে টাকা-পয়সার প্রয়োজন বলে বাবার জায়গা-জমি বিক্রি করে টাকা নিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। পৈতৃক সম্পত্তি না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে থানায় জিডি ও দেওয়ানী মামলার মাধ্যমে হয়রানি করা হয়। এছাড়াও পরিবারের সকল সদস্যকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান। এছাড়াও অন্য মেয়েদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক বিষয়টি জানার পরে নির্যাতনের পরিমাণ বেড়ে যায় বলে জানায় তিনি। এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ৬ আগস্ট নারী ও নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারী। মামলা ধীরগতি লক্ষ্য করায় স্বামী উজ্জ্বল মারমা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণনাশের হুমকি এবং তার পালিত দলবল পাঠিয়ে নির্যাতন করার কথা উল্লেখ করেন।। বর্তমানে পরিবারের সকলসদস্য অনিরাপত্তায় অবস্থান করছে এবং অতি শীঘ্রই গ্রেপ্তার পূর্বক শাস্তির দাবী জানান তারা।

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত উজ্জ্বল মারমা জানান, খেমারি মারমার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি বরং অনেক ছেলের সাথে পরকীয়া করে, বিভিন্ন হোটেলে রাত্রিযাপন করে। এ কারণে তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।

 

এ ব্যাপারে নারী ও নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুমনের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কোর্টে মামলায় আসামী গ্রেপ্তার করা হয় না। সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া তো রিপোর্ট দেওয়া যায় না এবং তিনি ছুটিতে থাকার কারণে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রিপোর্ট দেওয়া কথা থাকলেও দিতে পারেনি বলে জানায়। তবে ছুটি শেষে শীঘ্রই তদন্তের রিপোর্ট জমা দেয়া হবে বলে এ কর্মকর্তা জানান।

Ads