সমতলে চা চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষক

প্রতিদিনেরচিত্র ডেস্ক

২৪ জুন ২০২৩, ১২:৫১ পিএম


সমতলে চা চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষক

 

নীলফামারীর ডোমারে সমতল ভূমিতে ১৫ একর জমিতে বাগান করেছে চাষীরা। ডোমার উপজেলায় ৭টি চা বাগান রয়েছে। সবুজ চাপাতা ১৬ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের কৃষক আনোয়ার হোসেন সরকারী চাকুরীর অবসর জীবনে ছেলের উৎসাহে পৌনে চারবিঘা জমিতে চা বাগান করেন।

 

আনোয়ার হোসেন জানান, আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং সফল যে ১বছর ৪ মাসে বাগানটা এই রকম বাগান হওয়ার কথা নয় কিন্তু এই বাগানটি আগামী ৩ বছরে যদি আরো সম্পূর্ণ পরিচর্যা করতে পারি আমার মনে হয় এই বাগান থেকে আমরা লাভজনক টাকা পাবো। ডোমারের সমতল ভুমিতে ১৫ একর জমিতে বাগান করেছে চাষীরা।

 

ডোমার উপজেলায় ৭টি চা বাগান রয়েছে। সবুজ চা পাতা ১৬ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবস্থাপনা ও বাজার মনিটরিং করা হলে চা বাগানের মালিকরা আরো আর্থিকভাবে লাভবান হতো বলে মনে করেন চা বাগান মালিকরা।

 

চা পাতা শ্রমিক সহিদুল ইসলাম জানান, আমি পঞ্চগড় থেকে ডোমার থানায় এসেছি চা কাটার জন্য ডোমারে চা পাতা কেটে ৬-৭শত টাকা দিন পাই। চারা করি ,চা-গাছ লাগাই, চা ছাটাই করি, চা পাতা কাটি এই টুকুই আমরা করি।

 

আমরা চা-গাছের কাজ করে জিবিকা নির্বাহ করি। চা পাতা কাটা থেকে শুরু কওে চা লাগানো, চা বিষয়ে বিভিন্ন কাজ করতে পারি আমরা। পরিবার পরিজন নিয়ে খুব সুখে আছি।

 

চা-বাগান মালিকের ছেলে সাইফুল ইসলাম জানান, চা পাতার একটা বিষয় হচ্ছে চাপা  তাতে খরচও কম না। আমাদের এখানে যে খরচটা হচ্ছে ঐ হিসাবে আমরা চা পাতা বিক্রি কওে লাভবান হচ্ছিনা। তার কারণ হচ্ছে চা পাতার আজকের রেড হচ্ছে ১৫ টাকা আবার ফ্যাক্টরী ওয়ালা নিচ্ছে ১৫ পাসেন্ট ডিটাকশন।

 

১০০ কেজিতে ওনারা ১৫ কেজি বাদ দিচ্ছে আবার যেই রেডটা ওই  রেডটা আমরা পাচ্ছি না ২৯টাকা, ৩৫টাকা, ৪০টাকা পযর্ন্ত গেছে। পাতার রেডটা না বাড়লে আমরা সাবলম্বী হতে পারবো না। সরকারের কাছে অনুরোধ পাতার রেডটা যেন বাড়ানো হয়। আর আমাদের এ পাশে যে চা বাগান আছে এই বাগান গুলো যেন ট্রি বোর্ড থেকে নজরদারী করা হয়।

 

আনোয়ার হোসেন চা বাগান মালিক, ডোমার-নীলফামারী ১ বছর ৪মাসে বাগানটা আমি করেছি। এখানে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে সেটা বড়বিষয় নয় বিষয়টা হচ্ছে আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং সফল যে ৪মাসে বাগানটা এই রকম হওয়ার কথা নয় কিন্তু এই বাগানটি আগামী ৩ বছরে যদি আরা সম্পূর্ণ পরিচর্যা করতে পারি আমার মনে হয় এই বাগান থেকে আমরা লাভজনক টাকা পাবো। এটা অত্যন্ত ভালো জিনিস এই কারনে চা বাগানটা আমরা করেছি।

 

সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে চা বাগান সরকার কর্তৃক যদি আমরা যারা চাষী তাদের যদি একটু নজর রাখে ২৪ টাকার জায়গায় আমরা ১৫,১৬ টাকা রেড পাচ্ছি তাহলে আমরা আরো লাভবান হবো।

 

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচলক কৃষিবিদ ড.এস.এম আবূল বকর জানান, জেলার ডোমার এবং কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৭১ একর জমিতে আমাদের চা বাগান রয়েছে। আমাদের চা বাগানে প্রায় ৩৫টি বাগান রয়েছে।
বাগানের মধ্যে প্রায় ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৪ শত ২৫ কেজি চা প্রতি বছর উৎপাদন হচ্ছে। আগামীতে চার যদি ব্যবস্থাপনা ঠিক মতো নিতে পারে তাহলে আমাদের বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

Ads