আমানকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি দল
২৯ জুলাই ২০২৩, ০২:৫৭ পিএম

বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে অসুস্থ হয়ে পড়া ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানকে দেখতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি দল।
শনিবার (২৯ জুলাই) বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে গাবতলী থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। এ সময় বিএনপির এ নেতা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে পুলিশের গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিতে বেলা ১১টার দিকে গাবতলীতে আমানের নেতৃত্বে জড়ো হন বিএনপি নেতাকর্মীরা। আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তখন বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা।
এ বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে যান আমান উল্লাহ আমান। তখন পুলিশের এক কর্মকর্তা আমানকে নেতাকর্মী নিয়ে সেখান থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে সরে যেতে বলেন। অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি নেই বলে জানান তিনি।
একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তখন আওয়ামী লীগ এবং দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা চারপাশ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘিরে ফেলে। তখনই দুই দলের নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়।
আটকের আগে আমান উল্লাহ আমানকে উচ্চস্বরে বলতে শোনা যায়, ‘আমি এ দেশের ৪ বারের এমপি (সংসদ সদস্য) ছিলাম, দুবারের মন্ত্রী ছিলাম।’
পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা (পুলিশ) প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা। আপনারা আমাকে নিরাপত্তা দেবেন।’
পুলিশের সঙ্গে যাওয়ার সময় রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়েন আমান। প্রায় দু-তিন মিনিট তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ছিলেন। তখন পুলিশ তাকে সেখান থেকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে শেরে বাংলা নগরের জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ থেকে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগও। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান কর্মসূচি পালনে অনুমতি দেয়নি ডিএমপি। রাতে ডিএমপির গণমাধ্যম বিভাগ থেকে পাঠানো এসএমএসে ডিএমপি কমিশনারকে উদ্ধৃত করে একথা জানানো হয়।
এরপর আওয়ামী লীগ কর্মসূচি থেকে সরে এসে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক অবস্থানের ঘোষণা দেয়। কিন্তু শনিবার সকাল থেকেই সড়কে অবস্থানের চেষ্টা করে বিএনপি। লাটিসোঁটা হাতে সড়কে নামেন তারা।