মালয়েশিয়ায় বছরের শুরুতেই ৭৮ বাংলাদেশিসহ আটক ২২০
আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া থেকে
প্রতিদিনের চিত্র
প্রকাশিত : ০২:৪৯ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার

মালয়েশিয়ায় বছরের শুরুতেই আটক ২২০
গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বরে শেষ হলো মালয়েশিয়াতে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের বিশেষ ক্ষমায় নিজ দেশে ফেরত যাবার নির্ধারিত সুযোগ বিফরজি(B4G) 2020 এর শুরুতেই পূর্বঘোষিত অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের আটকে শুরু হয়েছে চিরুনি অভিযান। ২৪ ঘণ্টায় ১২৪টি অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন দেশের ১ হাজার ৮৭১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ২২০ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। এদের মধ্যে ৭৮ জন বাংলাদেশি, বাকিরা বিভিন্ন দেশের নাগরিক। ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রধান দাতুক খায়রুল দাজামি দাউদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মালয়েশিয়া সরকারের দেওয়া সুযোগ নিয়ে ইতোমধ্যেই ব্যাক ফর গুড কর্মসূচিতে বাংলাদেশের ৫০ হাজার অবৈধ শ্রমিক সহ বিভিন্ন দেশের ১ লাখ ৯০ হাজার ৪৭১ জন মালয়েশিয়া ছেড়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ওই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর অবৈধ অভিবাসী আটকে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে অভিবাসন বিভাগ যদিও তারা পূর্বেই এ ধরনের ঘোষণা দিয়েছিল।
এদিকে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তান শ্রি মহিউদ্দিন ইয়াছিন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা অবৈধ অভিবাসীদের বিভিন্ন সুযোগ দেওয়ার কারণেই অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আমরা আর কোনো সুযোগ দিতে চাই না। তিনি আরও বলেন, পাঁচটি রূপরেখার ওপর ভিত্তি করেই মালয়েশিয়ায় জুড়ে অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযান পরিচালিত হবে। মালয়েশিয়াতে অবৈধ অভিবাসী সমস্যা একটি জাতীয় সমস্যা। যা এখনও সম্পূর্ণভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব হয়নি। তাই ৫টি কৌশল বা রূপরেখা নির্ধারণ করে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানো হবে।
প্রসঙ্গত, অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার জন্য মালয়েশিয়া সরকার ২০১৭ সালে সুযোগ দেয়। শেষ হয় ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট। ওই বৈধ হওয়ার সুযোগ পেয়ে বহু বাংলাদেশি রেজিস্ট্রেশন করে প্রতারণার শিকার হয়। এরপর অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সে দেশের সরকার ব্যাক ফর গুড কর্মসূচির মাধ্যমে দেশ ত্যাগের সুযোগ দেয়। যা শেষ হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর। আর সেই সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন দেশের ১ লাখ ৮০ হাজার অভিবাসী মালয়েশিয়া ত্যাগ করে।এখনো ধারণা করা হচ্ছে আরো অসংখ্য অবৈধ বাংলাদেশি মালয়েশিয়াতে অবস্থান করছেন যাদের কোনো বৈধ ভিসা নেই । তবে এর সঠিক সংখ্যা কারোরই জানা নেই ।