যে সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হবার নয়
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রতিদিনের চিত্র
প্রকাশিত : ১০:৩৫ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২০ শনিবার

মডেল- জামশেদ শামীম, আস্পিয়া ওহি
সম্পর্ক সবসময় একি ভাবে যায় না। ঝগড়াঝাঁটি, মনমালিন্য প্রতিটি সম্পর্কেই টুকটাক থাকে। কিন্তু কিছু কিছু আচরণ যখন নিয়মিত ব্যবহার হয়ে দাঁড়ায়, তখন বুঝতে হবে ভাবনার সময় এসেছে। আপনার প্রিয় মানুষটা যদি নিচের এই কাজগুলো নিয়মিত করতে শুরু করে তাহলে বুঝবেন খুব সম্ভবত সে ব্রেকআপ করতে চায়।
মোবাইলে আরেকজনের সাথে অনেক সময় কাটানোঃ
মোবাইলে বন্ধুদের সাথে মাঝে মধ্যে কথা বলা বা আড্ডা দেয়া কোন দোষ নয়। কিন্তু তা যদি মাত্রা ছাড়ানো পর্যায়ে পৌঁছায় তাহলে কিন্তু আর গা ছেড়ে দেয়া যায় না। মাত্রা বুঝবেন কিভাবে? মিলিয়ে দেখুন সে আগে কতটুকু সময় ফোনে ব্যয় করত, এখন কতটুকু করে। পার্থক্যটা যদি খুব বেশি হয় তাহলে তো উত্তর পেয়েই গেলেন। তাছাড়া মনে রাখবেন, বন্ধু যেই হোক, আপনার প্রিয়জনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজন কিন্তু আপনারই হবার কথা.
শেয়ারিং কমিয়ে দেয়াঃ
একসাথে জীবন কাটানোর অঙ্গীকার কিন্তু ভালোবাসার অপরিহার্য শর্ত। তাই অনেককিছুই প্রিয় মানুষটির সাথে শেয়ার করা অত্যন্ত স্বাভাবিক। যদি দেখেন হঠাৎ করেই সে শেয়ারিং কমিয়ে দিয়েছে, সেটা ব্যবহার্য জিনিসপত্র হোক, আর তার প্রতিদিনের জীবনের ছোটবড় গল্পইই হোক। বুঝে নিবেন সময় হয়েছে ব্যাপারটা নিয়ে ভাবনা চিন্তার।
হঠাৎ করেই খুব ব্যস্ততা দেখানোঃ
নানা কাজে হুট করে আমরা ব্যস্ত হতেই পারি। কিন্তু সেটা যদি একটা নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে কিন্তু সমস্যা! কারণ, ব্যস্ততা যতই থাকুক, প্রিয় মানুষটির জন্য সময় বের করতে কারো অসুবিধা হবার কথা না। যদি লক্ষ করেন, ইদানীং প্রায়ই সে চলে যায় ব্যস্ততার অযুহাতে, দশমিনিটও আর অপেক্ষা করতে চায় না কাজটি নিয়মিত সেই করবে যে আসলেই থাকতে চায় না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, থাকতে না চাইলে কি কাউকে জোর করে রেখে দেয়া উচিৎ?
সময়ে অসময়ে ঝগড়া করাঃ
এই ঝগড়া প্রেমিক–প্রেমিকার মিষ্টি খুনসুটি নয়। যখন দেখবেন, কোন কারণ ছাড়াই সে দিনারাত ঝগড়া বাধিয়ে বসছে, একটা কথা শুরু করার আগে আপনাকে দশবার ভাবতে হচ্ছে কিভাবে বললে ঝগড়া বাধবে না, তখন বুঝবেন এটা স্বাভাবিক না। সম্পর্ক থেকে মন উঠে গেলেই চলে যাওয়ার অজুহাত খুঁজতে আপনার সঙ্গী কাজটি করছে।
কথা বলা কমিয়ে দেয়াঃ
“যাকে ভালোবাসো তাকে চোখের আড়াল করোনা।” – বঙ্কিম চন্দ্র
আসলেই তো প্রেমে পড়লে ভালোবাসার মানুষটিকে চোখের আড়াল করতে ইচ্ছা করে না। তার সাথে থাকতে, কথা বলতে ইচ্ছা করে। হয়তো আগে দিনরাত ফোনে থাকতেন, একঘন্টা কথা না হলে কিছু ভালো লাগতো না। আর এখন সে দুইদিন ফোন না করলেও নিজে থেকে একটা কল দেয় না। কথা বলতে গেলেও পড়েন বিপদে কারণ সে এমনভাবে কথা বলে, মনে হয় রেখে দিতে চাচ্ছে। এই লক্ষণ দেখামাত্র বুঝবেন, প্রিয় মানুষটি আর নেই আগের মত। নিজে থেকে না বললেও তার অবচেতন মনে লুকিয়ে আছে আলাদা হয়ে যাবার ইচ্ছা।
আপনাকে দোষারোপ করাঃ
ঝগড়ার সময় না চাইতেও দোষারোপ করার ব্যাপারটা চলেই আসে। কিন্তু ভালোবাসার মানুষকে কেউই অপদস্থ করতে চায় না। আপনার সঙ্গী যদি প্রায়ই নানা অজুহাত খুঁজে দোষ ধরা শুরু করে, শুধু রাগ না মাঝে মাঝে ঠান্ডা মাথায়ও আপনাকে দায়ী করে কথা বলে তাহলে বুঝবেন তার হৃদয়ে আর যাই থাক, ভালোবাসা নেই। প্রিয়জনকে দোষী ভাবার ইচ্ছাই তো হবার কথা না।
সঙ্গীর বন্ধু এবং পরিচিত মানুষ থেকে দূরে থাকাঃ
যার মনে ব্রেকআপ করে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা এটাই কি তার জন্য স্বাভাবিক নয়? একটা জিনিস সবসময় মনে রাখবেন, ভালোবাসার সম্পর্কে অঙ্গীকার থাকতেই হবে। এটা শুধু গোপনে প্রেম হতে পারে না। অবশ্যই আপনি চাইবেন নিজের কাছের মানুষ, পরিবার, বন্ধু–বান্ধবদের সাথে যেন আপনার সঙ্গীর সখ্যতা থাকে। কিন্তু যার মনে ব্রেকআপের চিন্তা, সে নিশ্চয়ই চাইবে না আপনার পরিচিতজনদের মাঝে থাকতে।তাই সঙ্গীর এধরনের ব্যবহার দেখলে সতর্ক হবার এটাই সময়!
আপনার সাথে কাটানো সময় যথাসম্ভব গোপন রাখাঃ
ভালোবাসার সম্পর্কে কমিটমেন্ট থাকবেই। প্রিয়মানুষটির মধ্যে থাকবে না কোন লুকোছাপা। কিন্তু যদি টের পান সে আপনাদের কথা যথাসম্ভব গোপন রাখতে চায়, তাহলে বুঝতে হবে ব্যাপারটা মোটেও স্বাভাবিক নয়।