ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ মে ২০২৩,   জ্যৈষ্ঠ ১৬ ১৪৩০

জঙ্গি কার্যক্রমের অভিযোগে ঢাকায় ভারতীয় নারী গ্রেপ্তার

প্রতিদিনের চিত্র ডেস্ক

প্রতিদিনের চিত্র

প্রকাশিত : ০২:৪৪ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২০ শনিবার

আয়েশা জান্নাত মোহনা ওরফে জান্নাতুত তাসনিম। ছবি- সংগৃহীত

আয়েশা জান্নাত মোহনা ওরফে জান্নাতুত তাসনিম। ছবি- সংগৃহীত

 

অনলাইনে জঙ্গি কার্যক্রম চালানোর অভিযোগে রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম। তিনি ভারতীয় নারী জঙ্গি ও নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির অন্যতম সদস্য বলে জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত আয়েশা জান্নাত মোহনা ওরফে জান্নাতুত তাসনিম (২৫) ধর্মান্তরিত মুসলিম। আগে তাঁর নাম ছিল প্রজ্ঞা দেবনাথ। তিনি কেরানীগঞ্জে একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। তিনি শিক্ষকতার আড়ালে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীদের অনলাইন জঙ্গি কার্যক্রমে দাওয়াত দিতেন।

সিটিটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের হুগলির ধনিয়াখালি থানা এলাকার পশ্চিম কেশবপুর গ্রামের মেয়ে আয়েশা। ২০০৯ সালে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি ধর্মান্তরিত হন। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানতে তিনি অনলাইনে বিভিন্ন দলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেন। এর এক পর্যায়ে নব্য জেএমবির নারী শাখার সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের নব্য জেএমবি'র নারী শাখার প্রধান আসমানী খাতুন ওরফে আসমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ হয় এবং সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতে থাকেন।

সিটিটিসি’র উপ-কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, আয়েশা ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশে যাতায়াত করতেন ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি কেরানীগঞ্জ থেকে একটি জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করেন। ওই জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে তিনি একটি ভুয়া এনআইডি কার্ড তৈরি করেন।

প্রবাসী এক বাংলাদেশি নাগরিককে অনলাইনে বিয়ে করে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নেওয়ার জন্য ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করেন। তিনি এটি দিয়ে নাগরিকত্ব নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছিলেন। তার সঙ্গে অনলাইনে আরো অনেক নারীর যোগাযোগ রয়েছে।

চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি মতিঝিল এলাকা থেকে জেএমবির নারী শাখার প্রধান আসমীকে সিটিটিসি গ্রেপ্তার করে। আসমার সঙ্গে আয়েশার প্রথম পরিচয় হয়। আসমা গ্রেপ্তার হলে নব্য জেএমবি’র নারী শাখার দায়িত্ব নেন আয়েশা। আয়েশা আত্মগোপনে থেকে অনলাইনে নারী ও পুরুষ সদস্যদের রিক্রুটের কাজ করছিলেন। তার কাছে দেশ-বিদেশ থেকে নব্য জেএমবি’র ফান্ডে টাকা আসত। ওই সব টাকা তিনি নারী সদস্যদের মোটিভেশন এবং রিক্রুটমেন্টের পেছনে ব্যয় করতেন।

তিনি বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়। আদালত ভারতীয় এই নারী নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে জেএমবির নারী শাখার অন্যদেরকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।

সিটিটিসি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেছেন, আয়েশার কাছ থেকে তাঁরা বেশকিছু কাগজপত্র পেয়েছেন। ওই কাগজপত্রগুলো যাচাই বাছাই এর জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁদের।