ইন্টার মায়ামিতে যাচ্ছি- মেসি
০৮ জুন ২০২৩, ১০:১৬ এএম

অনেক জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিকেই বেছে নিলেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। বুধবার (৭ জানুয়ারি) রাতে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম দিয়ারিও স্পোর্ত ও মুন্দো দিপোর্তিভোকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেসি নিজেই।
মেসি বলেন, 'আমি মায়ামিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখনও চুক্তির সব কাজ সারতে পারিনি। এখনও কিছু বিষয় বাকি আছে। তবে আমরা এই লক্ষ্যে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
এর আগে সন্ধ্যার দিকে এক টুইটে স্প্যানিশ সাংবাদিক গুইলেম বালাগ জানিয়েছিলেন, ইন্টার মায়ামিতেই যাচ্ছেন মেসি। তার সে টুইটের কয়েক ঘণ্টা পর আর্জেন্টাইন তারকা নিজেই মুন্দো দেপার্তিভোকে দেয়া সাক্ষাতকারে নিজের গন্তব্যের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
আর্জেন্টাইন তারকার পিএসজির ছাড়ার গুঞ্জন শুরু হতেই গত কয়েক মাসে একাধিক ক্লাব তাকে পেতে উঠে পড়ে লেগেছিল। টাকার বস্তা নিয়ে হাজির হয়েছিল সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল। কম যায়নি যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিও। দুই ক্লাবের অর্থের ঝনঝনানিতে অসহায় হয়ে পড়লেও, বার্সেলোনাও ছিল আলোচনায়। তবে শেষ পর্যন্ত ৩৫ বছর বয়সী এ তারকা বেছে নিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবকেই।
বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, আরও এক মৌসুমের জন্য ইউরোপে থাকতে চেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু কোনো সন্তোষজনক প্রস্তাব না পাওয়ায় তার বেছে নেওয়ার জন্য ছিল ইন্টার মায়ামি ও আল হিলালের মধ্যে যে কোনো একটি।
সৌদি আরবের ফুটবলে এরই মধ্যে পাড়ি জমিয়েছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও করিম বেনজেমা। কিন্তু আল হিলালের সঙ্গে নাকি আর্থিক বনিবনা হয়নি মেসির।
মায়ামির তিন মালিকের একজন ইংল্যান্ডর গ্রেট ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যাম। এই দলকে মেসির বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে। এর মধ্যে সেখানকার জীবনযাত্রার বিষয় যেমন আছে, তেমনি ফুটবলের বাইরেও বিস্তৃত বড় সব ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ও আছে। বিশেষ করে অ্যাডিডাস ও অ্যাপলের সঙ্গে চুক্তি।