এডিসি হারুনকাণ্ডে অভিযুক্ত অর্ধডজন
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৫৫ পিএম

ছবি- সংগৃহীত।
শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযুক্তদের চাকরিজীবনের আমলনামা খুঁজছে। বিশেষ করে এ সংক্রান্ত গোপনীয় নথিতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো বিরূপ মন্তব্য, অপরাধ, শাস্তি এবং শাস্তির পরিমাণসহ নেতিবাচক কিছু রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এজন্য এ ঘটনায় অভিযুক্ত অন্তত অর্ধডজন ব্যক্তির প্রিভিয়াস কনভিকশন অ্যান্ড প্রিভিয়াস রেকর্ড (পিসিপিআর) ও পার্সোনাল ডেটা শিট (পিডিএস) সংগ্রহ করছে তদন্ত কমিটি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব কারণে ২৪ দিনেও প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
রোববার সন্ধ্যায় ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, কমিটি এখনো প্রতিবেদন দেয়নি। তারা আরও সময় চেয়েছে।
সূত্র বলছে, বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী রোববার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা তা দিতে পারেনি। এর আগে দুই দফা সময় বৃদ্ধি করা হয়। তদন্তকাজ সম্পন্ন করতে কমিটি নতুন করে আরও সাত কার্যদিবস সময় চেয়েছে। তদের তিন কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।
এ অবস্থায় তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কমিটি ৯০ ভাগের বেশি কাজ শেষ করেছে। তবে প্রক্রিয়াগত কিছু কাজ সম্পন্ন করাসহ প্রকৃত ঘটনা সঠিকভাবে উদ্ঘাটন করে অভিযুক্তদের সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করতে আরও কিছুটা সময় লাগছে।
নির্যাতিতদের অভিযোগ, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক খান মামুনের স্ত্রী সানজিদা আফরিনের সঙ্গে হারুনকে দেখে ফেলেন তারা। এরই জেরে থানা হেফাজতে তাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়।
কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। পরে আরও পাঁচ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। এই সময়ে প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তিন কার্যদিবস সময় বাড়ানো হয়। রোববার তাদের প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত কমিটির কাছে থানায় নির্মমতা এবং এর আগে-পরের ঘটনা তুলে ধরে বক্তব্য দেন ৪০-৪২ জন। এর পাশাপাশি তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিভিন্ন ব্যক্তির বিষয়ে জানতে অফিশিয়াল চ্যানেলে বেশকিছু চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর অনেক জবাব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসেনি। তাদের চাকরিজীবনের সার্বিক মূল্যায়নসংক্রান্ত তথ্য হাতে পাওয়ার পর প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হবে।